কলকাতা: ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স৷ জেএমবি’র পর এবার বাংলাদেশের নতুন জঙ্গি সংগঠনের হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা৷ গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, জেএমবি-র স্টাইলে নয়া এই সংগঠনও গুটি গুটি পায়ে বাংলায় ঘাঁটি বানানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে৷ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে ধৃত জঙ্গি-তদন্তে এই নয়া তথ্য সামনে এসেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর৷
কলকাতা পুলিশের দাবি, হরিদেবপুর থেকে ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশের নয়া জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স’ যোগসাজশের একাধিক তথ্য সামনে এসেছে৷ এমনকি নয়া জঙ্গি সংগঠনের ‘খবর’ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশও৷ বাংলাদেশের তরফে কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়েছে, ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স নামে নয়া এই জঙ্গি সংগঠনের মাথায় রয়েছে সেদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক জিয়া। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়ার মতলব শুরু করেছে নতুন জঙ্গি সংগঠনটি।
গোপন সূত্রের খবর পেয়ে সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে নাজিউর সহ তিন জেএমবি জঙ্গিকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে লালু সেন ওরফে রাহুলের খোঁজ পায় পুলিশ৷ ধৃতরা কোন পথে কার সাহায্যে বাংলায় ঢুকল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে নকল আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও মিলেছে৷ একাধিক মোবাইলের সিম, এমনকি পাখি মারার বন্দুকও পাওয়া গিয়েছে৷ যা থেকে স্পষ্ট, দীর্ঘদিন ধরেই তারা বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে৷’’
তদন্তকারী ওই পুলিশ কর্তা জানান, ধৃত জঙ্গিদের ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ থেকে একাধিক তথ্য মিলেছে৷ যা থেকে খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে৷ তাই ২০১৬ সালে খাগড়াগড় কাণ্ডে NIA-এর হাতে ধৃত জেএমবি জঙ্গি ফারুক আহমেদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে হরিদেবপুর কাণ্ডে ধৃত নাজিউরকে৷ এবিষয়ে ব্যাংকশাল আদালত থেকে অনুমতি মিলেছে৷ শীঘ্রই তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে৷