কলকাতা: রাজ্যের মন্ত্রীগোষ্ঠীতে রদবদল সম্ভাবনা রয়েছে এবার। নবান্ন সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন বিধায়ক থাকা সত্বেও যাঁরা মন্ত্রী হননি, এবার সেই সকল বিধায়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীতে স্থান পেতে চলেছেন। আগামী সোমবার রাজ্যের মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সকাল ১১টায় শপথ বাক্য পাঠ করাবেন সকলকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা সকলেই গত বারের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। এবার মনে করা হচ্ছে, মদন মিত্র থেকে শুরু করে সৌমেন মহাপাত্র, নির্মল মাঝিরা মন্ত্রী হতে পারেন। একই সঙ্গে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে কেউ বড় দায়িত্বভার পান কিনা তার দিকেও নজর থাকবে সাধারণ মানুষের।
আবার অনেকেই থাকবেন যারা গত মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন এবং তারা হয়তো ফের নিজেদের দপ্তর নিজেরা ফিরে পাবেন। একসময় রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন মদন মিত্র, জাবেদ খান গত মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন। তারাও ফিরে আসতে পারেন এবারের মন্ত্রিসভায় বলে মনে করা হচ্ছে। হেরে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই গৌতম দেবকে শিলিগুড়ির পুরো প্রশাসক পদে বসিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে আসানসোল দক্ষিনে পরাজিত প্রার্থী সায়নী ঘোষকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকদের উন্মাদনা তুঙ্গে এবং তাকেও প্রশাসনিক পদে বসানো আর্জি জানানো হয়েছে। আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন তার দিকে নজর রয়েছে সকলের।
অন্যদিকে জল্পনা ছড়িয়ে গিয়েছিল যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছে শাসক দল। যদিও এই খবর সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। সংস্থা জানাচ্ছে, তাঁর তৃণমূলে যোগ এবং রাজ্যসভায় যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনও সম্ভাবনা এখন নেই। ইতিমধ্যেই এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যা ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। তবে জানা গেল, আপাতত এমন কোনও ঘটনা ঘটছে না।