কলকাতা: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই জানা গিয়েছিল যে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে থাকছে অনেক নতুন মুখ। সেই প্রেক্ষিতে আন্দাজ করা গিয়েছিল কারা কারা হতে পারেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী। তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে টলিউডের একাধিক তারকার প্রার্থী হয়েছেন, একইসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন আমলাও প্রার্থী তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হুমায়ুন কবীর, বিবেক গুপ্তরা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে জল্পনা চলছিল যে তৃণমূল কংগ্রেসের একেবারে অল্পবয়সী নেতাদের মধ্যে দেবাংশু ভট্টাচার্য্য থেকে শুরু করে সুদীপ্ত রাহা প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু তারা কেউ প্রার্থী হননি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন মুখ কারা…
আরও পড়ুন- সায়নী থেকে রাজ, জুন… প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলী তারকারা
ডেবরা: প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর
জোড়াসাঁকো: প্রাক্তন আমলা বিবেক গুপ্তা
শিলিগুড়ি: ওমপ্রকাশ মিশ্র
আরামবাগ: সুজাতা মন্ডল খাঁ
শ্রীরামপুর: ডাক্তার সুদীপ্ত রায়
দুর্গাপুর পশ্চিম: বিশ্বনাথ পারিয়াল
বেহালা পূর্ব: রত্না চট্টোপাধ্যায়
কুমারগ্রাম: লিওস কুজুর
কালচিনি: পাসাং লামা
খড়দহ: কাজল সিনহা
বাদুড়িয়া: কাজী আবদুল রহিম
আরও পড়ুন- মোক্ষম জবাব! শোভন-কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী তাঁরই পত্নী রত্না
ওদিকে, পাহাড়ের তিনটি আসনে লড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার শুরুতেই স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২৯১ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল কংগ্রেস, বাকি তিনটি আসন পাহাড়ের। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা লড়বে এই তিনটি আসনে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এবারের নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৫০। মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ৪২, এসসি প্রার্থী ৭৯, এসটি প্রার্থী ১৭ জন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, কেউ যেন ভুয়ো প্রচারে কান না দেয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মান্য করে যেন সকলে ভোট দেন। এর পাশাপাশি মমতা বলেন, যারা নির্বাচনী প্রচারে আসছে তাদের বহিরাগত বলা হচ্ছে না, কিন্তু অনেক বাইরের লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলায় ভোট প্রচারের জন্য। এদিন তিনি ফের একবার মনে করিয়ে দেন, বাংলার মানুষ বাংলাকে শাসন করবে, কোন বহিরাগতরা বাংলাকে শাসন করবে এটা তিনি হতে দেবেন না। এদিকে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মমতা বললেন, ওরা একেবারে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ওদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে রয়েছে।