কলকাতা: লড়াইটা শেষ পর্যন্ত ছিল, যুক্তির সঙ্গে যুক্তিহীনতার। অথচ এমন একটা সময় আমরা অতিক্রম করছি, যেখানে যুক্তিহীনতাই যুক্তি বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। তীব্র একটা ওলট-পালট আমাদের ভিতর থেকে বদলে দিয়েছে এতখানি যে, না চাইলেও খোপ কাটা ঘরগুলোয় মানুষকে ঢুকে পড়তেই হচ্ছে। তাতে হাত ভাঙে, পা ভাঙে, মাথা এবং মেরুদণ্ড। বিক্ষত এই বেঁচে থাকা। এমন দিনের গল্পগুলো কেমন হবে? ধারণা হয়, ওইরকমই, ভাঙা-ভাঙা, বিক্ষত। যেমন হয় অন্ধকার দিনের গান। মানুষের সরকার, দুই পক্ষেরই, মানুষকে ভাগ করে নিয়েছে পক্ষে পক্ষে। মিডিয়াও তাকে দিয়েছে পক্ষের পরিচয়পত্র। এই পক্ষে পক্ষে ভাঙা মানুষ তার টুকরো টুকরো গল্পগুলো ক্রমাগত ছড়িয়ে ফেলে, হারিয়েও ফেলে। মানুষ হয়ে আর তাই নিজের পক্ষে বলার মতো কথা থাকে না। তার বিচ্ছিন্ন বেঁচে থাকার এই গল্পগুলো তবু তুলে রাখতেই হয়।
আরও পড়ুন: NVF নিয়োগে ভুয়ো নথি, অভিযুক্তকে ‘রক্ষাকবচ’ দিল না হাইকোর্ট
এইসব ভাবনার ভিতরই বছর ছয়েক ধরে ঘনিয়ে ওঠা কয়েকটি গল্প। মলাটবন্দি হয়ে নাম পেল ‘মানুষের পক্ষে মানুষ’। গল্প তো দিনবদল করতে পারে না। শুধু মানুষের কথাগুলো হয়তো বলে ফেলতে পারে মানুষেরই কাছে। বিচ্ছিন্ন বিপর্যস্ত দিনকালে মানুষের পক্ষ নেওয়া ছাড়া গল্পের আর কী করার!
.
মানুষের পক্ষে মানুষ
গল্প সংকলন
প্রকাশক- সৃষ্টিসুখ
প্রচ্ছদ- পার্থপ্রতিম দাশ
বইমেলা স্টল নং – ১২৪ ( ২ নং গেটের কাছে)