কলকাতা: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ দিনে দিনে বাড়ছে। বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে অনশন, সবই করছেন তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবি মানেনি নবান্ন। কর্মবিরতি থেকে শুরু করে ধর্মঘট পালন, আবার ডিজিটাল অসহযোগিতা, সব পথেই হাঁটছে আন্দোলনকারীরা। তবে সুরাহা কবে মিলবে তা কেউই জানেন না। এই অবস্থায় ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। শনিবার উপবাস করে অনশন মঞ্চে যোগ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির এতদিন পর পদক্ষেপ, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল এবং শান্তনু
শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ধর্মতলার অনশনমঞ্চে যোগ দেন নওশাদ। আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে তাঁর বার্তা, সরকারি যদি এখনই আলোচনার টেবিলে না বসে তাহলে এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়বে বাংলা জুড়ে। এখন এটা শহরের গণ্ডিতে থাকলেও ধীরে ধীরে তা গ্রাম, মফস্বলের দিকে এগোবে। তাই সরকারের উচিত অবাঞ্ছিত মন্তব্য থেকে বিরত থেকে ডিএ ইস্যুতে আলোচনায় বসা। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে তারা। প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলায় প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ, যা ৫০ দিন পেরিয়েছে। আবার অনশন পেরিয়েছে ৩৭ দিন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অনুব্রত কন্যার অ্যাকাউন্টে কীভাবে এল ১৬ কোটি টাকার FD? Manish Kothari reveals about Sukanya to ED” width=”853″>
ইতিমধ্যেই ‘ডিজিটাল অসহযোগ’ করবে বলে ঠিক করে নিয়েছে সরকারি কর্মীদের একাংশ এবং আজ থেকেই এই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারী, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মোবাইলে কোনও দফতরের সরকারি কাজের জন্য আসা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন যেন না ধরা হয়। এমনকি ঊর্ধ্বতনের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট মারার কথাও বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ছুটির দিন সরকারি কাজ কোনও শর্তেই যেন না করা হয়।