কলকাতা: অবশেষে এল সেই সময়। জামিন পেলেন হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। গ্রেফতার হওয়ার ৪০ দিনের মাথায় এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নওশাদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও ৬৩ জনকেও এদিন জামিন দিয়েছে আদালত। বুধবারই তাঁর গ্রেফতারি মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য। পুলিশকে মারার প্ররোচনা দিয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকী, সেই প্রমাণ কোথায়? রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তারপর এদিন জামিন মিলল নওশাদদের।
আরও পড়ুন- লিভইন পার্টনারকে খুন করে রেখেছিলেন ধাবার ফ্রিজে, কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়ে করেন সাহিল!
ধর্মতলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা করা নওশাদ সিদ্দিকীকে। এছাড়াও ৮৮ জনকে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টও। বুধবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, সকলে যে গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত, তা জানা গেল কী ভাবে। পাশাপাশি বুধবার শুনানি চলাকালীন এজলাসে বসেই ল্যাপটপে সিদ্দিকীর ভাষণের ভিডিও দেখেন বিচারপতি। জানতে চাওয়া হয়, নওশাদ পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়? কার্যত গতকালই আভাস মিলেছিল যে শীঘ্রই জামিন পেতে পারেন নওশাদরা। সেটাই হল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”চাকরি যাচ্ছেই! সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল! HC upholds order over job termination of secondary teachers” width=”560″>
ভাঙড় এবং ধর্মতলার বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানা এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা হয়েছিল। সেই মামলা নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁকে জেলে আটকে রাখার জন্যই খুনের চেষ্টার মামলা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে কার্যত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে তাঁর এও হুঁশিয়ারি ছিল, জেল বা জরিমানা করে তাঁকে আটকানো যাবে না।