কলকাতা: ইতিহাস গড়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে চালু হয়ে গেল মেট্রো রেল৷ বুধবার হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই বাচ্চাদের নিয়ে নতুন রুটে সফর করেন তিনি৷ যাত্রাপথে স্কুলপড়ুয়াদের পাশে বসে আলাপচারিতায় মাতেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রো আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷
মাটির তলা দিয়ে প্রথম মেট্রো রেলের সূচনা হয়েছিল এই কলকাতাতেই। বুধবার এই মহানগরীতেই দেশের মধ্যে প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো পথের সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদী৷ ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর দমদম স্টেশন থেকে শুরু হয়েছিল কলকাতায় মেট্রো রেলের যাত্রা। চল্লিশ বছর পর সাফল্যের নতুন পালক জুড়ল কলকাতা শহরের বুকে।
কিন্তু, মাটির তলা দিয়ে গঙ্গে পেরতে ঠিক কতটা সময় লাগছে? এই নিয়ে কৌতুহল রয়েছে আমআদমির মনে। বস্তুত বাঙালি এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত যে এবার গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো-সফর করা যাবে। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান যেতে পেরতে হবে ৫২০ মিটার দীর্ঘ গঙ্গা। এবং এই দীর্ঘ পথ পেরতে সময় লাগবে মাত্র ৪৬ সেকেন্ড। কিন্তু মাটির নীচে দিয়ে ঠিক কখন গঙ্গা পার হচ্ছে, সেটা বোঝাযাবে কী করে? যাত্রীদের বোঝার জন্য সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ যেই না মেট্রে গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গে ঢুকবে, সেই মুহূর্তে একটি নীল আলো জ্বলে উঠবে। নীল এলইডি আলোই বুঝিয়ে দেবে যে মেট্রো এখন গঙ্গার নীচে দিয়ে ছুটছে।
নদীর উপরের জলস্তর থেকে ৩৩ মিটার গভীরে রয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গ। নদী খাত থেকে আরও ১৩ মিটার গভীরে পলিমাটির ভিতর দিয়ে গিয়েছে মেট্রোর টানেল। জলস্তরের ৩৫ মিটার নীচে বসানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল ফাইবার৷ এর ফলে ফাইভ জি গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা৷