কলকাতা: নারদা স্টিং অপারেশন মামলা তদন্তের প্রথম ধাপের কাজ শেষ৷ সিবিআই গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তরে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলেও তদন্তের কাজ এগোতে পারেনি৷ গত ১১ মাসে কেন্দ্রের তরফে কেন সিবিআইকে অনুমতি দেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বিরোধী বাম ও কংগ্রেস শিবিরের৷
আজ বিধানসভায় এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে বিভিন্ন জনসভায নারদা সহ চিটফান্ড মামলায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তা হয়নি। এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে সাধারণের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে তা আরো একবার প্রমাণিত হলো বলে তিনি অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ,প্রসূন ব্যানার্জি, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে।
একই বিষয়ে সংসদীয় এথিক্স কমিটি গত চার বছর ধরে নীরব থাকায় রহস্য আরও বেড়েছে বলে সুজন বাবু জানান। দুর্নীতি ইস্যুতে কোন গোপন বোঝাপড়া করা যাবে না উল্লেখ করে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে আজ প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে গতি আনতে সিবিআই কে দ্রুত অনুমতি দেওয়ার আরজি জানানোর কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।