কলকাতা: হাইপ্রোফাইল নারদ মামলায় ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন চার হেভিওয়েট নেতামন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু নারদ মামলা রাজ্যেই থাকবে, না অন্যত্র সরানো হবে? সোমবার তা নিয়েই শুরু হয় শুনানি৷
আরও পড়ুন- কী ভাবে হবে ত্রাণ বণ্টন? নবান্ন থেকে সাফ বার্তা মমতার
এদিন অ্যাডভোকেট জেলারেল কিশোর দত্ত তিনটি বিষয় তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ১৭ মে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি না শুনেই রায় দিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ফৌজদারি মামলা এই আদালত অন্যত্র স্থানান্তর করতে পারে না। এছাড়া ডিভিশন বেঞ্চের বিষয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারে না। যারা এই মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছেন সেই বিচারপতিরা এই মামলায় থাকতে পারেন না৷ তিনি আরো বলেন, ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই একাই এসেছে। অভিযুক্তদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই মামলা শোনার অর্থ জুডিশিয়াল সময় নষ্ট। এটা সঠিক ফোরাম নয়।
এর পরেই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন দিক মাথায় রেখেই গোটা মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। অর্ডারে এই লাইনটা দেখুন। এখানে দু’জন বিচারপতির মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই। আমরা সব বিষয় দেখব। কিন্তু এটা বলবেন না এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন ঠিক হয়নি। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চেই মামলার শুনানি হবে।
কিশোর দত্ত বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এটা আলোচনা হয়নি যে এটা সিঙ্গল না বৃহত্তর বেঞ্চ শুনবে। এ পরেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, যা যা বিষয় উঠছে আমরা সবটাই শুনব। জাজমেন্টে সব বিষয়গুলো থাকবে।
আরও পড়ুন- কিছুটা শিথিল বিধিনিষেধ, কীসে ছাড়?
কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কথায়, মামলার মেন্টেনিবিলিটি থাকলে আলোচনা করা যায়। আদৌ গ্রহনযোগ্য কিনা সেটাই প্রশ্ন। যার জবাবে হরিশ ট্যান্ডন বলেন, আমরা কাউকে কোনও পয়েন্ট আলোচনা থেকে বঞ্চিত করছি না। এ বিষয়েও আলোচনা হোক। বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, আমরা মামলার মেরিট নিয়ে আলোচনা করি। আলোচনা মানেই হার বা জিত নয়৷
অন্যদিকে, এদিন নারদ মামলা হস্তান্তরের জন্য হাইকোর্টের পাঁচ বিতারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে সিবিআই-এর দাবিগুলি জমা দেন কেন্দ্রের সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা। ১৭ মে নারদ-কাণ্ডে ৪ নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না এবং বাইরে জনতার বিক্ষোভের বিষয়টি ইস্যু করে সিবিআই। এই ঘটনাগুলি কুলে ধরেই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর পক্ষে সওয়াল করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷