কলকাতা: কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় মুখ খুললেন নন্দিতা ও মৈনাক। কোর্টে যাওয়ার সময় নন্দিতা জানায়, ‘‘এত যে পর্ন কান্ড বলে নিউজ হচ্ছে। আমাকে সবার আগে বলা হোক হোয়াট ইজ দ্য ডেফিনেশন অফ পর্ণগ্রাফি? আমরা ন্যুড শ্যুট করেছিলাম নট পর্নগ্রাফি। ন্যুড শ্যুটটা যদি পর্নগ্রাফির মধ্যে পড়ে তাহলে আমাদের জানা নেই। ন্যুড শুটটাকে পর্নগ্রাফি বলা হয়। তাই যদি হবে তাহলে ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রিতে এতো ন্যুড শ্যুট হচ্ছে৷ সব কটাকেই পর্নগ্রাফি হিসাবে গন্য করা হবে। তাদেরকেও তাহলে অ্যারেস্ট করা হোক।’’
এর সঙ্গে কে কে জড়িত আছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নন্দিতা জানায়,আমি এখন কিছু বলতে পারব না। আমি অবশ্যই আমাদের এগেনেস্টে যে ভুল কমপ্লেন দেওয়া হয়েছে তারজন্য লিগ্যাল স্টেপ নিচ্ছি। মুম্বাইয়ের সাথে আমাদের কোনো যোগসূত্র নেই। এই ভিডিও গুলো আমরা আপলোড করতাম না। মৈনাক ঘোষ জানায়, ‘‘আগে ডেফিনেশনটা ঠিক হোক। আগে ডেফিনেশনটা গভর্মেন্ট ঠিক করুক তারপর কথা হবে।’’
গত ২৯ জুলাই দমদম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। ওই দিন দুজনকে বারাসত আদালতে তুলে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে নেয়। ধৃত নন্দিতা দত্ত এবং মৈনাক ঘোষ এর ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে আজ ফের বারাসত আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মৈনাক ঘোষকে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ধৃত ফটোগ্রাফার শুভঙ্কর দে কে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশ জানতে পারে, যে নন্দিতা এবং মৈনাক তাকে মেমোরি চিফ দিতো শ্যুট হয়ে গেলে আবার তারা শুভঙ্করের কাছ থেকে মেমোরি চিফ নিয়ে নিতো। তবে এই ভিডিও গুলি বিভিন্ন সাইটে কারা আপলোড করত সেই বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি তারা এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। সেই কারণে ধৃত মৈনাক ঘোষকে ফের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করছে পুলিশ।