নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হবে না তো, সারা দেশ তাকিয়ে ভবানীপুরের দিকে

নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হবে না তো, সারা দেশ তাকিয়ে ভবানীপুরের দিকে

কলকাতা: অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট দেবতাদের ভোটদান৷ ভাগ্য গণনার লাইনে থাকা তিনজনই পেশায় আইনজীবী৷ অন্যভাবে বললে, আজ গণ দেবতার আদালতে ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে তিন আইনজীবীর৷ স্বভাবতই, শেষ হাসি কে হাসবেন তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই৷ তাই বাংলা তো বটেই আজা সারা দেশের নজরে ভবানীপুর৷ কারণ, প্রার্থী যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আর পাঁচটা ভোটে যেভাবে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থাকে ভবানীপুরের উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও সেটা রয়েছে৷ যার জেরে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে এদিন বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন হলেও তাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে এসেছে ভবানীপুর৷ সকাল থেকে হটস্পট ভবানীপুরের দিকেই তাকিয়ে সারা বিশ্বের তামাম রাজনীতিকরা৷ কারণ, বাংলা ছাড়িয়ে ইতিমধ্যেই দেশের রাজনীতিতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠছেন তৃণমূল নেত্রী৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভবানীপুরের জয় পরাজয়ের ওপর নির্ভর করছে আগামীদিনের অনেক কিছু৷ ফলাফলের নিরিখে কিছু প্রশ্নের যেমন সদুত্তর মিলবে তেমনই নতুন করে কিছু প্রশ্নও সামনে উঠে আসবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ ওই মহল বলছেল  নিম্নচাপের অতি বৃষ্টি এবং জমা জল শাসকের যেমন বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে তেমনই জমা জলকে সামনে রেখেই আশায় বুক বাঁধছে গেরুয়া শিবির৷ সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট৷ মোটের ওপর দু, একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া চলছে নির্বিঘ্নেই৷ সর্বত্রই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি চোখে পড়ার মতো৷

ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ‘‘ভবানীপুর থেকে দিদির জয় আমরা ভাবছি না৷ আমাদের ভাবনা, জয়ের ব্যবধান নিয়ে৷ কিন্তু যেহেতু উপ নির্বাচন তাই কত শতাংশ ভোট পড়ছে তার ওপরই নির্ভর করবে জয়ের ব্যবধান৷’’ অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘অবাধ ভোট হলে নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হবে ভবানীপুরেও৷ মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে ওঁনাকে ফের পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীই হতে হবে৷’’

প্রসঙ্গত, শেষ নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে তৃণমূল জয়ী হলেও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রবল মোদী-ঝড়ে ভবানীপুরে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছিল ২৮৪ ভোটে। ২০১১ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট যেখানে ছিল প্রায় ৭৮ শতাংশ, ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভোটই প্রায় ২০ শতাংশ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৫৮ শতাংশে৷ স্বভাবতই সব শিবিরের নজরেই ভবানীপুর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *