নন্দীগ্রাম: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর যেসব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেই সব এলাকা পরিদর্শন করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ইতিমধ্যেই কোচবিহার সফর করেছেন তিনি। এবার নন্দীগ্রামে যাবেন রাজ্যপাল। আজ সকালেই সেখানে যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু রাজ্যপালের এই নন্দীগ্রাম সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানকার তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ সুফিয়ানের বক্তব্য, রাজ্যপাল আসছেন আসুন, কিন্তু তাঁকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য নেতৃত্ব ওনাকে নিয়ে যা বলার বলেছেন, তাই নন্দীগ্রামের স্থানীয় নেতৃত্ব বিশেষ কিছু ভাবছে না।
বিজেপি শিবির দাবি করেছে যে ভোটের ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গায় তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি নন্দীগ্রামেও বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। যদিও এই সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন শেখ সুফিয়ান। তাঁর স্পষ্ট দাবি, বিজেপি মিথ্যাচার করছে। আর এখন রাজ্যপাল নিজে প্রচারে থাকার জন্য বিজেপির হয়ে প্রচার করছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি। সুফিয়ানের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যপালকে প্রচারের কেন্দ্রে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। জানা গিয়েছে, সকাল সোয়া নয়টায় রাজ্যপাল কলকাতার আরসিটিসি গ্রাউন্ড থেকে বিএসএফের হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রামের হরিপুর হেলিপ্যাডে পৌঁছে সড়কপথে দক্ষিণ কেন্দামারি, নন্দীগ্রাম বাজার, বঙ্কিম মোড়, চিনাগ্রাম পরিদর্শন করবেন।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বিজেপি দাবি করেছে, জায়গায় জায়গায় গেরুয়া কর্মী এবং সমর্থকদের আক্রমণ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে কোচবিহার সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সফরে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। কোচবিহারের গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় তাঁকে এবং কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁর কনভয়কে। সব মিলিয়ে ব্যাপক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেখানে। পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনহাটা থানার আইসিকে প্রকাশ্যে ধমক দেন রাজ্যপাল।