পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি! অপেক্ষার এক সপ্তাহ

পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি! অপেক্ষার এক সপ্তাহ

কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কার্যত পর্যুদস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। যদিও সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই কারণ প্রথমে মমতাকেই জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে নাটকীয় ভাবে জয় হয় শুভেন্দু অধিকারীর। তারপরেই মমতা জানিয়েছিলেন যে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন। সেই প্রেক্ষিতে গতকাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি, যে মামলার শুনানি ছিল আজ। কিন্তু এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল এক সপ্তাহ।

জানা গিয়েছে, আজ নির্ধারিত সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এসব মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এই মামলার আবেদনকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। সেই কারণেই মামলা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২৪ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। যদিও আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেছে যে এই মামলাটির বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র একসময় বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে নন্দীগ্রামের জনতার রায় তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি কারচুপির অভিযোগ আনেন তিনি। রিটার্নিং অফিসারের বক্তব্য তুলে ধরেন সবার সামনেই। দাবি করেন যে ভয় দেখিয়ে এবং কারসাজি করে তাঁকে ভোটে হারানো হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি এবং সেই প্রেক্ষিতেই মামলা করা হয়েছে।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই জয়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নন্দীগ্রামের ঘটনা। ভোট গণনার দিন প্রথমে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১,২০০ ভোটে জিতেছেন সেখানে কিন্তু তার ঘন্টাখানেক পর জানানো হয় ১,৯০০-এর কিছু বেশি ভোটে সেখানে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী! তারপর থেকেই ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *