নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দীগ্রাম: মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক মিছিলে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল৷ বুধবার মিছিলে আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন আহতদের সঙ্গে বলেন শুভেন্দু৷ জড়িয়ে ধরেন তাদের৷ হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় তিনি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের৷ তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, ‘পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, কেউ যদি ভাবে গুন্ডামি করবে মারপিট করবে তাহলে বিগত দিনেও দেখা গেছে এসব দীর্ঘস্থায়ী হয় না৷’
একইসঙ্গে শুভেন্দুর কথায়, যারা হামলা করেছিল তাদের সামনে আসার ক্ষমতা নেই, আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারেনি৷ মিছিলে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ দেওয়ার প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বলেন, ‘মায়েদের চোখের জল একুশ সালে অভিশাপ হয়ে আসবে৷’ এদিকে মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের একটি অফিসে ভাঙচুর করা হয়৷ ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রামপুরে।
জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ দুস্কৃতীরা তৃণমূলের মূল পার্টি অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ও আরো আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নন্দীগ্রাম৷ কখনও মিছিলে হামলা, কখনও তাজা বোমা উদ্ধার তো কখনো দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর৷ শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পরে যা আরও মাথাচারা দিচ্ছে৷ বিধানসভা ভোটে এবার বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে নন্দীগ্রাম৷ এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷