বাঙালি শহরে ‘মোড়’ বদলে ‘চৌক’ রাখছে পুরসভা, সোচ্চার উত্তর

‘চৌকে’র প্রহরায় চৌকিদার৷ এর অর্থ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন শিলিগুড়িবাসী৷ বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভা থেকে হঠাৎই নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় যে এখন থেকে শহরের সব ‘মোড়’ বদলে ‘চৌক’ করা হচ্ছে৷ যেমন ‘জংশন মোড়ে’র নাম পরিবর্তন করে নেপালি ‘আদিকবি’ ভানুভক্ত আচার্যর নাম অনুসারে হচ্ছে ‘ভানুভক্ত চৌক’৷ আবার 'ভেনাস মোড়ে'র নাম পরিবর্তন করে হচ্ছে ‘শফদর হাশমি চৌক’৷ কমিউনিস্ট নাট্যকার শফদর হাশমির নাম অনুসারে৷

শিলিগুড়ি: ‘চৌকে’র প্রহরায় চৌকিদার৷ এর অর্থ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন শিলিগুড়িবাসী৷ বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভা থেকে হঠাৎই নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় যে এখন থেকে শহরের সব ‘মোড়’ বদলে ‘চৌক’ করা হচ্ছে৷ যেমন ‘জংশন মোড়ে’র নাম পরিবর্তন করে নেপালি ‘আদিকবি’ ভানুভক্ত আচার্যর নাম অনুসারে হচ্ছে ‘ভানুভক্ত চৌক’৷ আবার 'ভেনাস মোড়ে'র নাম পরিবর্তন করে হচ্ছে ‘শফদর হাশমি চৌক’৷ কমিউনিস্ট নাট্যকার শফদর হাশমির নাম অনুসারে৷

 

মোট ৬ টি মোড় এই তালিকায় আছে৷ সেবক মোড় যার পরিবর্তিত নাম হবে 'গুরুনানক চৌক', পানিট্যাঙ্কি মোড় পরিবর্তিত হয়ে হবে ‘রামকৃষ্ণ চৌক’, নৌকাঘাট মোড় হবে ‘ঠাকুর পঞ্চানন চৌক’ এবং এয়ারভিউ মোড়ের নামকরণ হবে ‘মহাত্মা গান্ধী চৌক’৷ কিন্তু বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ‘মোড়’ পাল্টে হিন্দি ভাষায় 'চৌক' বলতে নারাজ শিলিগুড়ির মানুষ৷ পুরসভার এহেন পদক্ষেপে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ শহরবাসী৷

তাই বাঙালিকে কোণঠাসা করে পশ্চিমবাংলায় হিন্দি সম্রাজ্যবাদের উত্থানের প্রতিবাদে সোচ্চার হল বাংলা-পক্ষ সংগঠন৷ তাদের মতে বাঙালির শহর শিলিগুড়ি বিহার বা ইউপি-র অংশ নয়৷ তাই কোনো মোড়কে 'চৌক' বলে উল্লেখ করা যাবে না৷ দাবি না মানা হলে আন্দোলনে নামতে পিছপা হবেন না বলে সংগঠন৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা৷ অনেকেই নামে সমস্যা দেখছেন না সমস্যা দেখছেন 'চৌক' শব্দটিতে৷ তবে  বাঙালি মনীষীদের পরিবর্তে অবাঙালিদের নাম হওয়াতেও আপত্তি আছে অনেকেরই৷  বাঙালির শহর শিলিগুড়িতে অবাঙালির ছাপ স্পষ্ট হচ্ছে এমনই আশঙ্কা করছেন শহরের মানুষ৷ এবিষয়ে দেশের শাসক দল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ইশারায় এধরনের কাজ হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত করছেন অনেকেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *