নদিয়া: করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউকে পিছনে ফেলে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি৷ যার জেরে শুধু কলকাতা নয়, এবার জেলার সরকারি হাসপাতালেও করোনার থাবা৷
নদিয়ার কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স সহ মোট ৩০ জন স্বাস্থ্য কর্মী৷ যার ফলে সংশ্লিষ্ট জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে৷ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরও অনেকের রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি৷ তাদের রিপোর্টে জানা যাবে নতুন করে কেউ সংক্রমিত হয়েছে কি না। যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে তাদের মূলত আমরা একটি সরকারি আবাসন রেখেছি। বাকি যাদের নিজেদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে তারা বাড়িতে চলে গিয়েছেন।’’
বাড়তে থাকা সংক্রমণে রাশ পরাতে ৩ জানুয়ারি থেকে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার৷ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে ফের পথে নেমেছে পুলিশ৷ পুলিশ প্রশাসনের তরফে প্রতিটি সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা যেন অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বের হয়। রাস্তায় বেরোলে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলা এবং মুখে মাক্স পড়া আবশ্যক৷ তাতেও অবশ্য একাংশ জনতার হুঁশ নেই৷ তাই মাস্ক হীন পথচারীদের ধরপাকড়ও শুরু করেছে পুলিশ৷ এই পরিস্থিতিতে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ডাক্তার নার্স এবং পড়ুয়াদের ভিতরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের করোনা টেস্ট করানো হয়। বুধবার রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালের মোট ৬ জন ডাক্তার, ১৯ জন পড়ুয়া এবং পাঁচজন নার্সের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক৷