কলকাতা: সাঁতরাগাছি থেকে শুরু করে হাওড়া ময়দান, লালবাজার চত্বর। সব জায়গায় বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রায় তুলকালাম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মী, নেতাদের সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের সঙ্গে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানো, ইট ছোড়ার অভিযোগ করা হয়। এই আবহে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘোষণা, নবান্ন অভিযান শেষ।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু-লকেটকে ভ্যানে তুলল পুলিশ, সাঁতরাগাছি যাওয়ার আগেই আটক রাহুলও
দুুপুর ২টো ৪০ মিনিটে নবান্ন অভিযান শেষ হয়েছে, এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেলা বাড়ার শুরুতেই আটক হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার মতো নেতা। পরে হাওড়া ময়দান, লালবাজারের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাঁতরাগাছির পর ধুন্ধুমার অবস্থার সৃষ্টি হয় হাওড়া ময়দানে। এই মুহূর্তে খবর মিলেছে, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে অনেক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। কাঁদানে গ্যাসের কারণে একদিকে তারা যেমন অসুস্থ হয়েছেন, ঠিক তেমনই গ্যাস সেল ফাটায়, ইট বৃষ্টির মধ্যে পড়েও অনেকে আহত।
অভিযানের ঠিক শেষের মুখে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কারণ এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপরই তড়িঘড়ি দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।