কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তিন শিশু আধিকারিককে ইতিমধ্যেই বদলির নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। এই বদলির ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকদের বদলি করল নবান্ন। নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা হওয়ার আগেই বিডিও বা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (১৩ জন) এবং ডিস্ট্রিক কালেক্টর (৭জন) পদমর্যাদার একঝাঁক আধিকারিকদের রদবদল করা হল।আধিকারিকদের এই বদলি নিয়ে সরকারের অবশ্য বক্তব্য, এটা রুটিন বদলি। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফেও তাঁদের সিদ্ধান্তকে রুটিন বদলি হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ দেরি। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন, শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, বিজেপির সঙ্গে একই সুরে কথা বলছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। সবমিলিয়ে যখন মুখ্য নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ শহরে এসেছিল তখন তাদের কাছে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। একই সঙ্গে ওই তিনজন আধিকারিকের বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কমিশনের তরফ জানানো হয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গে হিংসা মুক্ত নির্বাচন করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার সবটাই করবে তারা। সেই প্রেক্ষিতেই এই তিনজন আধিকারিকের বদলি কিনা সে ব্যাপারে তর্ক হতেই পারে। যদিও রাজ্যের তরফে হঠাৎ কেন বদলি তা নিয়ে আরও কোনও তথ্য সামনে আসেনি এখনও, শুধু রুটিন বদলি বলা হচ্ছে।
তবে, নির্বাচন কমিশনের ওই তিন শীর্ষ আধিকারিকের বদলির বিষয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। রাজ্যে যখন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেনট এসেছিল তখন এই অফিসারদের প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছিল যে, যারা দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের অফিসে বসে কাজ করছে তাদের বদলি করা হচ্ছে না। পরবর্তী ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন এই তিনজন শীর্ষ আধিকারিকের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব, একাংশের ধারণা, বিজেপি শিবির এর তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও তাদের তরফ থেকে এটিকে রুটিন বদলি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।