কলকাতা: শহরের শ্মশান কর্মীদের মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। একইসঙ্গে মৃতদেহ দাহ করার সময় চারজনের বেশি পরিবার-পরিজনদের শ্মশানের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না পুর কর্তৃপক্ষ। এই সতর্কবাণী বারবার প্রচার করা হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে।
পুরসভা সচেতন করার পাশাপাশি সচেতন হয়েছেন কর্মীরা নিজেরাও। কোন মৃতদেহ এলে তার পরিবারের পরিজনদের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলছেন তারা। এমনকি বারবার সেখানে স্যানিটাইজার দিয়ে হাতও ধুয়ে নিচ্ছেন। নিমতলা ও কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সিরিটি, গড়িয়া বা কাশী মিত্র শ্মশান এর তুলনায় মৃতদেহ আসার চাপ থেকে বেশি। ফলে ভিড়টাও এখানে বেশি। সাধারণ সময় প্রতি মৃতদেহ পিছু ১০থেকে ১২জন পরিবার-পরিজন ঢোকে শ্মশানের ভিতরে। কিন্তু এই করোনার আবহে চার জনের বেশি পরিবার-পরিজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুরসভার তরফ থেকে এই বিষয়ে যেমন সচেতনতা চালানো হচ্ছে একইভাবে স্থানীয় থানা গুলিকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার কথাও বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
প্রত্যেক শ্মশানের কর্মীরাই জানাচ্ছেন তারা যেমন মৃতদেহের পরিবার-পরিজনদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখছেন তেমনই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলছেন এবং কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাকে সাধারণ শ্মশানে পোড়ানো হবে না। বরং সেই মৃতদেহকে নিয়ে যাওয়া হবে ধাপায়। যেখানে বেওয়ারিশ দেহ পোড়ানো হয় সেখানে পোড়ানো হবে তাদের। পাশাপাশি কাউকে কবর দেওয়ার হলে বাগমাড়িতে যে কবরখানা রয়েছে, সেখানে কবর দেওয়া হবে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহকে।