কলকাতা: কলকাতা পুরভোট নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের৷ সিসিটিভি বিভ্রাট থেকে ছাপ্পা ভোট, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এদিন পুরভোট মামলায় বিজেপির আইনজীবী বিল্লোদল ভট্টাচার্য বলেন,আদালতের নির্দেশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও সেগুলো সঠিক ভাবে কাজ করেনি। কোথাও আউট অফ ফোকাস ছিল। কোথাও কানেক্ট ছিল না।
আরও পড়ুন- বালি-হাওড়া পুরসভার পৃথকীকরণে সিলমোহর রাজ্যপালের! আদালতে নথি পেশ রাজ্যের
এদিন আদালতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রশ্ন তোলেন বিজেপির আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ। তিনি বলেন, পুলিশ উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ শোনা হয়নি৷ এমনকী বিরোধী দলনেতাকেও আটকানো হয়েছে৷ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করেছে বিধাননগর পুলিশ৷
একই অভিযোগের সুর বামেদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও৷ সিসিটিভি অডিটের প্রয়োজন রয়েছে বলে এদিন আদালতে সওয়াল করেন তিনি।
সব্যসাচী এদিন আদালতকে জানান, এক একটি বুথে দেখা গিয়েছে বিরোধীরা ভোটই পাননি। শাসক দল ৯৯% ভোট পেয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সমস্ত সিসিটিভি ও ইভিএম এই মুহূর্তে সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে৷ একই দাবি জানান, বিজেপির আইনজীবী সুবীর সান্যালও৷ তিনি বলেন, অবিলম্বে প্রতিটি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে৷ নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এর তদন্ত করানো উচিত। তার মতে, কালকের মধ্যেই সিসিটিভি, ডায়েরি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। না হলে তথ্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু কারা অডিট করতে পারবে, তা জানতে চান প্রধান বিচারপিতি৷ জবাবে সব্যসাচী বলেন, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাব এই অডিট করতে পারবে। এদিকে আজ আদালতে ড্রোনের ফুটেজ জমা দেওয়া হয়েছে৷ সেকথা জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল৷ তিনি জানান, CP এভং DGP – র ২টি পৃথক রিপোর্ট আদালতে জমা করা হয়েছে৷
এদিকে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, পোলিং অফিসারের ডায়েরিও আদালতে জমা করা উচিত। তাহলেই দেখা যাবে বিরোধী এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন কি না। বিজেপি পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য, আদালত বলেছিল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বোমাবাজি হয়েছে। প্রার্থীরা মার খেয়েছে। এমনকী বিধায়কদের তাঁদের হোস্টেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি৷ সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রচারিত হয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও, কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নে এজি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজেপি’র আবেদন ছিল শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভা ভোটের জন্য। বর্তমানে বিজেপি’র করা মামলা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তিনি আরও বলেন, কলকাতা পুর নির্বাচনে কোনও অশান্তি হয়নি।অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রশ্নই আসে না৷