‘ক্যাপ্টেন মোদি’র নেতৃত্বেই লড়তে হবে, মমতাকে বার্তা মুকুলের

‘ক্যাপ্টেন মোদি’র নেতৃত্বেই লড়তে হবে, মমতাকে বার্তা মুকুলের

কলকাতা: দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন। তাঁর নেতৃত্বেই লড়তে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রকম বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

মুকুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত কোভিড 19 এর সঙ্গে লড়াই করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশা করেছে সারা বিশ্ব। পশ্চিমবঙ্গের যা শেষ রিপোর্ট পেয়েছি, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৯০ জন মানুষ আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গে মারা গিয়েছে ১৩৫ এবং ৭২ জন মারা গিয়েছে কো-মর্বিডিটি। সারা ভারতে যেভাবে প্রথম দিন থেকে লকডাউন হয়েছে, সেই রকম নিয়ম মেনে লকডাউন হলে তাহলে এই পরিস্থিতি আসত না। মহামারী হয়েছে, কারও দোষ নয়। তাই (রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীকে) এত কথা বলতে হত না। প্রধানমন্ত্রীর কথা মানতে হত। “

মুকুল আরও বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলব, এই লড়াইটা উনি সকল কে নিয়ে করুন। ভারতবর্ষের 'ক্যাপ্টেন' নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে লড়াই করছে গোটা দেশ। সবাই একসাথে লড়াই করুন। কনটাইনমেন্ট জোনের সঙ্গা বদলে দেওয়া হয়েছে। খবরের কাগজে পড়লাম, এখন নাকি কনটাইনমেন্ট জোন হবে বাড়ির চত্বর। এটা কেন হল, কারণ কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। প্রথম থেকেই যদি লকডাউন পালন করা হত, তবে এই পরিস্থিতি আসত না। “

বিজেপি বলছে, “কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করতে চাই। কেন্দ্র কখনও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, উনি নাকি কখনও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। এদিকে, সবসময় কেন্দ্র রাজ্য রাজনীতি করে চলেছেন। “

মুকুলের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্যাকেজে যুগান্তকারী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বলতে চাই, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা ২ বছরে ৮ হাজার টাকা পেতেই পারতেন। যদি না, রাজনীতি করে আটকে না দেওয়া হত। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকেও যদি রাজনীতির আওতায় আটকে না রাখা হত, তাহলে প্রচুর মানুষ তা পেতে পারতেন। “

মুকুল আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ড থেকে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কেনা হচ্ছে, রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রেল চলবে। ৩০০ রেল চলবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে কোনও (কোভিড) ক্যারিয়ার আছে কিনা তাও দেখে নিতে হবে।”

মুকুলের বক্তব্য, “এ রাজ্যে সরকার কিছু ভালো অফিসারদের 'বলির পাঠা' বানায়। এতে অফিসারদের মনবল ভেঙে দেয়। এটা করা উচিত নয়। রাজ্যের পুরসভা গুলিতে প্রশাসক বসানোর নিয়ম আছে। কিন্তু, এতদিন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই প্রশাসক হবেন নাকি অন্যকেউ তা দেখতে হবে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − eight =