কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরই তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে৷ ভোটের আগে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে আসার স্রোত বইতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীও বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন বলে জোড় জল্পনা৷ এ বিষয়ে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই৷ শুভেন্দু অধিকারীর উত্থান গণআন্দোলন থেকে৷ শুভেন্দু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েই পদত্যাগ করেছেন৷ তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলে, তা একদিকে যেমন দলের পক্ষে মঙ্গল, তেমনই তাঁর পক্ষেও ভালো৷’’ তবে এটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা বলেও উল্লেখ করেন মুকুল রায়৷
আরও পড়ুন- অধিকারী পরিবারের অন্যতম স্তম্ভ শুভেন্দু, কী তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব?
তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী গণআন্দোলনের নেতা৷ ওঁনাকে দলে পেলে অবশ্যই বিজেপি’র পক্ষে তা মঙ্গল৷ তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো হেভিওয়েট নেতা বিজেপি’তে যোগ দিলে ২০২১ সালের নির্বাচনের পর দলকে কোনও ভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে নাতো? এর জবাবে মুকুল রায় বলেন, বহু মানুষের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ শুভেন্দু দলে এলে তিনি তাঁর যোগ্যতা মতোই কাজ করবেন৷ এতে কোনও অসুবিধা থাকার কথাই নয়৷ এ কথা বলতে গিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি৷ মুকুল রায় বলেন, তাঁর মতো হেভিওয়েট নেতা দলে যোগদান করাতে কি দলের কোনও ক্ষতি হয়েছে? বরং লাভই হয়েছে৷ শুভেন্দু বিজেপি শিবিরে এলে একই ভাবে দল উপকৃত হবে৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও দলেই আছেন! এখনও আশাবাদী সৌগত রায়
তবে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বিজেপি’তে যোগদান প্রসঙ্গে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই জানান বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷ তিনি বলেন, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী দিল্লিতে গিয়েছেন৷ দিল্লি হেডকোয়াটার্স থেকে তাঁকে পার্টি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সেই সময় এই বিষয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে৷ এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই৷ তবে মিহির গোস্বামী উত্তরবঙ্গের একজন বলিষ্ঠ নেতা৷ তিনি বিজেপি’তে যোগদান করলে দল লাভবান হবে বলেই মনে করেন মুকুল রায়৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে একাধেক নেতার যোগদান প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘‘যেদিন দল ছেড়েছিলাম, সেই দিন বলেছিলাম শেষের শুরু হল৷ আজকেও সেই কথা বলছি, শেষের শুরু৷’’ তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ এই সরকারের প্রতি বিরক্ত, বীতশ্রদ্ধ৷ কার জন্য বা কেন এই বিতৃষ্ণা, এর জন্য আমলাতন্ত্র দায়ী না রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দায়ী তা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে৷ তবে বাংলার মানুষ যে বীতশ্রদ্ধ সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷