কলকাতা: মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আগেই৷ বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়৷ তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু যে দিন মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সেদিনই বলেছিলাম ও তৃণমূল ছাড়লে আমি খুশি হব৷ আমরা ওঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত৷’’ এদিকে বেসুরো জিতেন্দ্র তিওয়ারির গলায় শোনা গেল শুভেন্দু বন্দনা৷ আসানসোলের বিদায়ী মেয়রের কথায়, ‘‘বাবু ববি হাকিম শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, সেটা মানায় না৷’’
আরও পড়ুন- শনিবার দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু, রয়েছে আরও চমক!
তৃণমূলের সঙ্গে দু’ দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে শুভেন্দুর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘‘এটা গণআন্দোলনের পথে বাংলার একটা বড় সিদ্ধান্ত৷’’ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি’তে যোগ দিলে দল যে উপকৃত হবে সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন মুকুল রায়৷ তাঁর কথায়, গণআন্দোলনে কোনও নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে অবশ্যই উপকৃত হবে দল৷ এদিকে, জোড় গুঞ্জন আগামী ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের উপস্থিতিতেই বিজেপি’তে যোগদান করবেন শুভেন্দু অধিকারী৷
এদিকে সুব্রত বক্সি ও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও বিজেপি নেতারা যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলেও এদিন কোচবিহারের সভা থেকে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় সাফ বলেন, ‘‘যোগাযোগ করা হতেই পারে৷ এটা স্বাভাবিক৷ তবে যারা প্রথম থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা আর দলে থাকতে চাইছেন না৷’’ তৃণমূল কংগ্রেস ‘তাসের ঘরে’র মতো ভেঙে পড়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷ প্রশান্ত কিশোরের অবস্থান নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর গোপন বৈঠকে ১২ ‘বিদ্রোহী’ নেতা! মমতার ফোন এড়িয়ে বৈঠকে জিতেন্দ্র!
অন্যদিকে শুভেন্দু সমর্থনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী গুলির সামনে দাঁড়িয়ে ছ’মাস লড়াই করেছে। তার পরই উনি নেতা হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটো কথা বললে সেটা মানায়। কিন্তু তোমার মুখে তাঁর কথা মানায় নাকি?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দু অধিকারীই তৃণমূলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন বলেও দাবি করেন জিতেন্দ্র।