কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দলবদলের হিড়িক লেগেছিল। তৃণমূল থেকে একাধিক গণ্যমান্য নেতারা নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। কিন্তু নির্বাচনের পরে বিজেপিকে কার্যত ধুলিস্যাৎ করে বাংলায় আবার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে দলবদলের সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিজেপি ছেড়ে আবার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। তাই এবার তাঁর ‘জেড’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় নিজেই তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাই নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপিতে যাওয়ার পর জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা পেতেন মুকুল রায়। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি বিজেপিতে নেই তাই সেই নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় তাঁর তরফে। এই কারণেই সিআরপিএফের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা দুজন একই রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর ‘হুমকি’ রত্নার, লালবাজারের দ্বারস্থ ‘আতঙ্কিত’ বৈশাখী
উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আবহে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে মুকুল রায় হয়তো আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন। কারণ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তাঁর ইস্যুতে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ভোটের আবহে মুকুল রায়কে খুব একটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি বিজেপির হয়ে। ফলাফলের পর বেশ কিছুদিনের ব্যবধানেই অবশেষে বড় রকমের দলবদল ঘটে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়।