কলকাতা: মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে এক ঘৃণ্য রাজনীতি করেছে বামফ্রন্ট সরকার। কংগ্রেস এবং বর্তমান রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একই পন্থায় কাজ করছে মতুয়াদের বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর শুধু ভোট রাজনীতির শিকার হয়েছেন তারা, উন্নয়ন তো হয়নি উল্টে অবৈধভাবে বাইরে থেকে লোক নিয়েছে বাংলা থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে যাবতীয় শ্লেষ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এমনকি সিএএ প্রসঙ্গ নিয়েও বর্তমান তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তৃণমূল সরকারের আমলে ব্যাপকভাবে রাজনীতির শিকার হয়েছে। এই দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির জন্য তাদের বঞ্চিত করে রেখেছে এতদিন ধরে। মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পরেও তাদের ব্যবহার করছে তারা, এই ধরনের রাজনৈতিক দ্বিচারিতা নজিরবিহীন। মুকুলের কথায়, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ মুসলিমদের এই রাজ্যে স্থায়ী বসবাসের যোগান দিয়েছে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল সরকার। ভোটের রাজনীতির জন্যই মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব আইনের বিষয়েও এদিন মন্তব্য করেন মুকুল রায়। পাশে বসে থাকা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর নিজেও তাঁর ধারণা ব্যক্ত করেন।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরে সকলের ধারণা হচ্ছিল হয়তো শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়েছে। এদিন সেই বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়ে শান্তনু বলেন, তিনি দলের সঙ্গে যতটা আলোচনা করার অতটা করেছেন এবং করবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে তাদের দলে শামিল হবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ জানান যে তাঁকে নিয়ে অবান্তর খবর না করতে।