কলকাতা: এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তাঁর সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের আরো আট বিজেপি নেতা এবং বহু কর্মীও ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন ব্রাত্য বসু, মুকুল রায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের উপস্থিতিতে। এই যোগদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন যে, এটি বিজেপির ভাঙনের শুরু।
মুকুলের বক্তব্য, গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রথম যে আসন পেয়েছিল তা উত্তরবঙ্গ থেকে। রাজ্যে বিজেপির এটা শেষের শুরু। এটা বিজেপি বাংলায় শেষ হওয়ার পূর্বাভাস বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কটাক্ষ করে বলেন যে, বিজেপি যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকেই শেষ হবে। যে পথ দিয়ে এসেছিল, সেই পথ দিয়েই ফিরবে বলে একহাত নেন তিনি। উল্লেখ্য এদিন, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অভিযোগ করেন, বিজেপি জেলা নেতৃত্বকে কোনরকম গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেই তারা দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরো জানান যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। স্থানীয় নেতৃত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে ব্যাপারে তাদের এতোটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর আরও বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত ভোটের আগেই নিয়েছিলেন। তবে ভোটের আগে দল না ছেড়ে এখন ছাড়লেন কারণ তিনি মনে করতেন যে, নির্বাচনের আগে দল ছাড়লে লোকে তাঁকে গদ্দার বলবে। আসলে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ইতিমধ্যেই ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে আলাদা রাজ্য হলে তবেই উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের। অর্থাৎ এক কথায় উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন তিনি। এই দাবির পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ দুভাবেই সমর্থন করছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে এখন উত্তরবঙ্গ রাজনীতি। তবে তার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ভাঙন ধরেছে বিজেপির।