কলকাতা: চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে ‘যোগ’ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি ‘যোগ’ দিয়েছিলেন তা প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেই দেখানো হয়েছিল। এই যোগদানের পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবী দাবি করেছেন যে, মুকুল রায় কোনও দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগই দেননি!
এদিন এই মামলার শুনানিতে মুকুলের আইনজীবী বলেন, যা বলার ছিল তা স্পিকারের কাছে বলে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের তরফে একটি লিখিত রিজয়েন্ডার দেওয়া হবে। এদিকে, পাল্টা সওয়াল করে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি। সেই দিনই এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পারে। আসলে মুকুলের দলবদল নিয়ে এখনও অনেক জল্পনা এবং প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি একাধিকবার এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ মানুষকে অবাক করেছে। যেমন, কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তিনি বলতে পারেন যে তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। আবার, বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হলে তিনিই জিতবেন বিজেপির টিকিটে। তাই তিনি আদতে কী ভাবছেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, স্বপুত্র ঘর ওয়াপসি করেছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। এই যোগদানের আগে দীর্ঘ দিন ধরেই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল৷ বিজেপিতে থাকলেও ভোটের আগে থেকেই তিনি ছিলেন মৌন৷ তাঁর এই নীরবতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল৷অবশেষে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন তিনি।