কলকাতা: কুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই বিজেপি ছেড়ে পুরনো ঘরে ফেরেন মকুল রায়৷ এর পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুরু হয় মামলা৷ শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার রায় দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল রায় বিজেপি-তেই আছেন। যে ধরণের প্রামণ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আবেদনকারী তা পেশ করতে পারেননি৷ তাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- সত্যিই তৃণমূলে ফিরছেন? জবাব দিলেন শুভেন্দু নিজে
দীর্ঘ শুনানি-পর্বে মুকুল রায় ও তাঁর আইনজীবীরা বারবার দাবি করেছেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বিজেপিতেই আছেন। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণার সময় অধ্যক্ষ বললেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছে৷ কিন্তু এই আবেদনের স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি আবেদনকারী৷ সেই প্রেক্ষিতেই ওই আবেদন খারিজ করা হল। মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপি-তেই আছেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সবদিক বিচার বিবেচনা করেই অধ্যক্ষ এই রায় দিয়েছেন৷ তাঁর রায় সকলকে মেনে নিচে হবে৷’’
প্রসঙ্গত, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করে শাসক দল৷ মুকুল রায় বিজেপি-র টিকিটে বিধায়ক হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে দলত্যাগ বিরোধা আইনে মুকুলের বিরুদ্ধে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান শুভেন্দু৷ মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টেও একটি মামলা দায়ের করা হয়৷ ডিভিশন বেঞ্চ আশাপ্রকাশ করেছিল, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই এই মামলার নিষ্পত্তি হবে৷ সেই মতো আজই মুকুল-মামলার রায় শোনান অধ্যক্ষ৷