মৃণাল সেনের ছবি সংরক্ষণ জরুরি: সন্দীপ রায়

কলকাতা: মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকাহত গোটা সিনেমাজগত৷ মঙ্গলবার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মৃণাল সেনের৷ সেখানেই মৃণাল সেনের নির্মিত ছায়াছবিগুলো সংরক্ষিত করে রাখার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রবিদরা। আজ মৃণাল সেনের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা বের হয় দেশপ্রিয় পার্ক থেকে। শোকযাত্রা শেষ হয় ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। শোকযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন টলিপাড়ার অভিনেতা, পরিচালক থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও। ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট

মৃণাল সেনের ছবি সংরক্ষণ জরুরি: সন্দীপ রায়

কলকাতা: মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকাহত গোটা সিনেমাজগত৷ মঙ্গলবার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মৃণাল সেনের৷ সেখানেই মৃণাল সেনের নির্মিত ছায়াছবিগুলো সংরক্ষিত করে রাখার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রবিদরা। আজ মৃণাল সেনের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রা বের হয় দেশপ্রিয় পার্ক থেকে। শোকযাত্রা শেষ হয় ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। শোকযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন টলিপাড়ার অভিনেতা, পরিচালক থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও। ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনাবসান ঘটেছিল রবিবার৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে অনেকদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর পরিচালিত ছবিগুলি দেশ বিদেশে একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। বাংলা ছাড়াও হিন্দিতে ভাষায়ও ছবি করেছেন তিনি। তাই প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের ছবি সংরক্ষিত করে রাখা হবে, বলছেন চিত্র পরিচালকরা। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের ছেলে কুনাল সেন দেশে ফেরায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে এদিন বিকেলে ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। মৃণাল সেনের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রায় যাঁরা শামিল হয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, অপর্ণা সেন, মমতাশংকর, চন্দন সেন, চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায় প্রমুখ। এছাড়া রাজনৈতিক নেতা বিমান বসু থেকে কবি শঙ্ক ঘোষ-সহ প্রায় হাজারো মানুষের ঢল নামে কলকাতার রাজপথে। ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে দাঁড়িয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায় বলেন, ‘ভারতীয় সিনেমাকে সাহসিকতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা ছিল মৃণাল সেনের। তাই তাঁর ছবি সংরক্ষিত করে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’ পরিচালক এবং অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বলেন, ”দিনের পর দিন মৃণালদার সাথে আড্ডা হত তাঁর পদ্ম অ্যভিনিউয়ের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে তিনটি ছবি করার সুযোগ হয়েছিল। হাসিখুশি জলজ্যান্ত প্রাণটা হঠাৎ কেমন ছেড়ে গেল। উনি আমদের ছেড়ে চলে গেছেন, তা ভাবতেই পারছি না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − eleven =