নিজের অবস্থানে অনড় প্রসূন, দলবদলু ইস্যুতে গোষ্ঠীদ্বন্দ দিচ্ছে মাথা চাড়া

নিজের অবস্থানে অনড় প্রসূন, দলবদলু ইস্যুতে গোষ্ঠীদ্বন্দ দিচ্ছে মাথা চাড়া

হাওড়া: রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাওড়ায় না ঢুকতে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন প্রসূন।

তিনি বলেন, ‘‘দল কাদের নেবেন সেটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তই শিরোধার্য। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্ত আমিও মেনে চলব। কিন্তু যারা নির্বাচনের আগে দলকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাদের আমি মন থেকে কোনওদিন ক্ষমা করতে পারব না। আমার কাছে এদের কোনও স্থান নেই।’’

প্রসঙ্গত, রবিবার রাজীবের নাম না নিয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইলেকশনের সময় যে যে পালিয়ে গিয়েছিলে, সে সে হাওড়ায় ঢুকতে পারবে না। হাওড়ায় ঢুকতে দেব না। যত বড়োই মাতব্বর হও। সেদিন তোমরা ভেবেছিলে দিদি হেরে যাবে। দিদি যতদিন জীবিত ততদিনই দিদি থাকবে। কেউ হারাতে পারবে না। বাড়ি চলে গেলে। প্লেনে উড়ে গেলে। কি সুন্দর খাওয়াদাওয়া পেলে। আবার হেরে গিয়ে এখন দিদির ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ। কোনও কারণেই মানতে পারব না।’’

দলীয় সূত্রের খবর, দলবদলুদের ফের দলে নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেই শুরু হয়েছে ক্ষোভ৷ সেই ক্ষোভের জেরে আগামী দিনে এলাকায় গোষ্ঠী দ্বন্দের সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ নিজের বক্তব্যে কার্যত অনড় থেকে প্রসূন এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেটাই স্পষ্ট করলেন মত ওই মহলের৷

একই সঙ্গে হাওড়ার অনুন্নয়নের জন্য দলের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকেও এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন প্রসূন৷ তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা রাজ্য থেকে এসেছিল। কিন্তু প্রাক্তন চেয়ারম্যান (রথীন চক্রবর্তী) কোন উন্নয়নের কাজ করেননি। রথীনবাবুর আমলে প্রথম ২ বছর কাজ হয়েছিল। বাকি ৩ বছর গল্প করলেন। কোনও কাজ করলেন না। উনি হাওড়ার সর্বনাশ করে গেছেন। উনি পুরনিগমে এলে ২ ঘন্টার মতো থাকতেন। তারপর চলে যেতেন।’’ রথীনবাবুর মেয়র হওয়ার যোগ্যতাই ছিল না বলেও এদিন দাবি করেছেন প্রসূন৷ একই সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘‘হাওড়ায় পুরভোটে ৫০টি আসনেই তৃণমূল জিতবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =