মামলার রায়ে বাড়ছে কামদুনির ক্ষোভ! মৌসুমী-টুম্পাদের বৃহত্তর আন্দোলনের ভাবনা

মামলার রায়ে বাড়ছে কামদুনির ক্ষোভ! মৌসুমী-টুম্পাদের বৃহত্তর আন্দোলনের ভাবনা

87fbe48fc5c27dfa05b49a003e328008

কলকাতা: দশ বছর পর শুক্রবার রায় বেরিয়েছে কামদুনি মামলার। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ করেছে আদালত এবং তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। এই রায় বেরনোর পরেই ক্ষোভ ফুঁসছে কামদুনি। মূলত এই আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা মৌসুমী এবং টুম্পা কয়াল আদালতের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফাঁসির আসামি খালাস পাওয়ায় নতুন লড়াইয়ের শপথ নিয়েছেন তারা। 

শুক্রবার এই ঘটনার রায় দিয়েছে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর ১০ বছর জেল খাটার কারণে খালাস পেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। এই রায়ই মেনে নিতে পারছেন না কামদুনির আন্দোলনকারী থেকে গ্রামের মানুষ। নতুন করে আবার লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। 

প্রাথমিক ভাবে কামদুনি গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ৷ পরে ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিআইডি। চার্জশিটে মোট ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া চলার মাঝেই মৃত্যু হয় গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের৷ ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক সঞ্চিতা সরকার ছয় অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অপরাধীদের সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। এখন আদালত যে রায় দিয়েছে তার বিরোধিতা করে কামদুনিকাণ্ডের অন্যতম আন্দোলনকারীরা বলছেন, বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবা হচ্ছে। যে রায় দেওয়া হয়েছে তা কখনই মানা যায় না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *