কেন খুন হলেন ভবানীপুরের দম্পতি? অবশেষে সামনে এল কারণ

কেন খুন হলেন ভবানীপুরের দম্পতি? অবশেষে সামনে এল কারণ

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে অবস্থিত হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাটে গত সোমবার রাতে যে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল তাদের খুনের কিনারা হল বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায় ওই দম্পতিকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর এখনও মূলচক্রী অধরা। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে খুনের মোটিভ স্পষ্ট করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ভবানীপুরের দম্পতি খুনের ঘটনায় যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ এবং যতীন মেহোতা। সিপি জানিয়েছেন গ্রেফতার হওয়ায় তিনজনেই লিলুয়ার বাসিন্দা এবং প্রত্যেকেই মৃত ওই দম্পতির পরিচিত। জানা যাচ্ছে নিহত ব্যবসায়ী অশোক শাহ দীপেশ নামের এক ব্যক্তিকে ২০১৯ সালে এক লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সে ধার শোধ করতে না পেরেই দীপেশ ভবানীপুরের ওই দম্পতিকে খুন করার ফন্দি আঁটে। এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ দীপেশকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বাকি তিনজন ধরা পড়লেও মূল অভিযুক্ত এই দীপেশ এখনও পলাতক।

অন্যদিকে এই খুন প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এই খুনের ছক করা হচ্ছিল। বুধবার রাতে অভিযুক্তরা ওই দম্পতির বাড়িতে শুধুমাত্র লুটপাট চালাবে বলে হানা দেয় নি, তাদের আগে থেকেই খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মূলত আক্রোশের জেরেই ওই দম্পতি খুন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া আরও একটি সূত্র মারফত খবর, দীপেশ নিহত ওই দম্পতির মেজ মেয়ের জামাইয়ের ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রেই ব্যবসায়ী অশোক শাহের সঙ্গে তার আলাপ হয়।

এর পাশাপাশি তদন্তকারী পুলিশ মারফত জানা যাচ্ছে সোমবার বিকেলের দিকে অভিযুক্ত ওই চারজন মৃত দম্পতির ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে দম্পতিদের মধ্যেই কেউ তাদের দরজা খুলে দিয়েছিল। এরপর ফ্ল্যাটের মধ্যে প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা হয়। আর তারপরেই দম্পতিকে খুন করে তাদের বাড়িতে থাকা সমস্ত দামি জিনিসপত্র লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে যখন মৃতদের বাড়িতে পুলিশ গেয়েছিল তখনই তারা দেখেছিলেন ঘরের সমস্ত জিনিসই লন্ডভন্ড। পুলিশের আশঙ্কা খুনের ঘটনাকে নেহাতি লুটপাটের ঘটনা হিসেবে সাজাতেই ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 7 =