নিজস্ব প্রতিনিধি, গোসাবা: দ্বিতীয়বার মেয়ে তার ওপর আবার গায়ের রং কালো। ক্ষোভে ৩ মাসের কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন। অভিযোগের তির খোদ মায়ের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার বালি-১ নম্বর অঞ্চলের মথুরাখন্ড গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মথুরাখন্ড গ্রামের বাসিন্দা জিতেন পাত্রের সঙ্গে আটবছর আগে পূরবী পাত্রের বিয়ে হয়। জিতেন পাত্র পেশায় মৎস্যজীবী।
ছয় বছর আগে জীতেন ও পূরবীর একটি কন্যাসন্তান হয়, নাম অঙ্কিতা পাত্র। প্রায় মাস তিনেক হল তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান হয় এবং এটিও মেয়ে। তবে বড় মেয়ে অঙ্কিতার মত ছোটটি ফর্সা নয়। তার গায়ের রং ছিল কালো। আর সেটাই বুঝিবা চক্ষুশূল হল মায়ের। মাস তিনেক বয়স বলে রেয়াত করা হয়নি অমৃতা পাত্রকে।
অভিযোগ ছোট মেয়ের ঠিকমত পরিচর্যা করতো না পূরবী। এমনকি প্রায়ই তাকে বেশ মারধরও করতো বলে অভিযোগ। ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে জিতেন পাত্র ও তার মা গীতা পাত্র দুজনে নদীতে যান মাছ আর কাঁকড়া ধরতে। অভিযোগ সুযোগ বুঝে বড় মেয়ে অঙ্কিতার সামনে তিন মাসের অমৃতাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে পূরবী পাত্র।
এদিকে মাছ, কাঁকড়া নদী থেকে ধরে বাড়ি ফিরে আসেন জিতেন পাত্র ও তার মা। তখন চোখের সামনের ঘটনা বাবা ও ঠাকুমাকে জানায় ছোট্ট অঙ্কিতা। ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয়রা গোসাবা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী। পুলিশ শিশুকন্যার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিন রাতে জিতেন পাত্র স্ত্রী পূরবী পাত্রের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পূরবীকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের জেরায় কথায় অসঙ্গতি পেয়ে পূরবীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।