বাচ্চাদের পড়ার অসুবিধা হবে, আজান চললেও মাইক বন্ধ রাখে মসজিদ

বাচ্চাদের পড়ার অসুবিধা হবে, আজান চললেও মাইক বন্ধ রাখে মসজিদ

জলপাইগুড়ি: এই সম্প্রীতিরই তো খোঁজ চলে সব সময়। এই সম্প্রীতিই এখন যেন কার্যত হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু তা যে পুরোপুরি হারাবে না, তার প্রমাণ রাখল জলপাইগুড়ি। আজান হল, কিন্তু মাইক বাজল না। বাচ্চাদের পড়ার অসুবিধা হবে যে! এমনই ঘটনা মনটা যেন একদম ভাল করে দেয়। জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি গোমিরাপাড়ার এই মসজিদ সেটাই করল।

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল শুরু হয়েছে। কিন্তু বাকি ক্লাসগুলির কী হবে? স্কুল না খুললেও পড়াশুনা থামিয়ে রাখা যাবে না। তাই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে  বেরুবাড়ি গোমিরাপাড়ার এই মসজিদের মাঠে। কারণ এখানে অধিকাংশের স্মার্টফোন ব্যবহার করার ক্ষমতা নেই, আবার এই এলাকাতে ইন্টারনেটের সমস্যা প্রবল। তাই অনলাইন ক্লাসে ঢের অসুবিধা। কিন্তু তা বলে পড়াশুনা তো আর বন্ধ রাখা যায় না। সেই কারণেই মসজিদের মাঠে খোলা হাওয়ায় চলছে ক্লাস। কিন্তু বিষয় হল, যেখানে ক্লাস হচ্ছে সেখানেই মাইক লাগানো, আজানের সময় এই মাইক দিয়েই সেটা শোনা যায়। তাই ক্লাস চলাকালীন যাতে বাচ্চাদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই মসজিদের মোয়াজ্জেম নজরুল ইসলাম মাইক বন্ধ রেখেছেন। আজান হলেও তা মাইকে শোনা যায় না।

মসজিদের মাঠে আম বাগানে চলে এই ক্লাস। পড়ানো হয় ইংরাজি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, অঙ্ক সবই। স্কুলের পোশাক পরেই আসে অধিকাংশ পড়ুয়া। শিক্ষকরাও সময় মত চলে আসেন। শিক্ষকদের বসার এবং বোর্ড রাখার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এদিকে অভিভাবকরাও তাদের জন্য কখনও চা, কখনও অন্য খাবার নিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে এক অন্যরকমের পরিবেশ তৈরি হয় এই মসজিদের মাঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =