কলকাতা: কংগ্রেসে যোগ দিলেন তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। রাজনৈতিক মহলে তিনি নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিচিত বলেই জানা যায়। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হয়েছিল তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি হয়তো বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু আদতে তেমনটা ঘটল না। বিজেপিতে না গিয়ে কংগ্রেস শিবিরে নিজের নাম লেখালেন মোশারফ হোসেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শিবির তথা বাম-কংগ্রেস জোটের শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরে বহিস্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেনকে নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছিল। তবে আদরে দেখা গেল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পথে না হেঁটে অধীর চৌধুরীর দলে গিয়ে যোগ দিলেন। কিছুদিন আগেই দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করে রাজ্যের শাসক দল। বহিষ্কারের পরবর্তী সময় থেকেই জল্পনা সৃষ্টি হয় যে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। কিছুদিন আগে দল বিরোধী কাজ করছেন এই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি বিজেপি শিবিরের নাম লিখিয়েছেন। এবারেও দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা নেতা অন্য দলে নাম লেখালেন। তবে এবার ব্যতিক্রমী ব্যাপার, বিজেপি নয়, তৃণমূল নেতার কারণে দল ভারী হল কংগ্রেসের।
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন একাধিক প্রভাবশালী নেতা যারা ১৯ ফেব্রুয়ারি অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। যোগ দিতে চাওয়া নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম ছিল মোশারফ হোসেন। অবশেষে জল্পনা মতই আজ কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। তবে, দলবদল ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে আশানুরূপ ফল করবে। তিনি বলেছেন, এই জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এখন কংগ্রেসে যাচ্ছেন। ফলে দুই দলের সম্পর্ক বোঝাই যাচ্ছে। তবে নির্বাচনে এর ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আত্মবিশ্বাসী কুণাল ঘোষ।