কলকাতা: আজই কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেস শিবিরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত মোশারাফ হোসেন। রাজনৈতিক মহলে তিনি নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিচিত বলেই জানা যায়। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হয়েছিল তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি হয়তো বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু আদতে তেমনটা ঘটল না। বিজেপিতে না গিয়ে কংগ্রেস শিবিরে নিজের নাম লেখালেন মোশারফ হোসেন। আর কংগ্রেসে ফিরেই তৃণমূলকে তোপ দাগলেন তিনি।
হাত শিবিরে যোগ দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে মোশারফ হোসেন বললেন, “এই জেলা কংগ্রেসের জেলা। এই জেলায় হাতের চাষ হয়, এখানে তৃণমূলের কোন চাষ হবে না।” এদিকে সভাধিপতির পদ তিনি কেন ছাড়ছেন না সেই ব্যাপারে মোশারফ মন্তব্য করেন, তিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন তখন কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু এখন তাদের গায়ে জ্বালা ধরছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি মন্তব্য করেন, আরে সময় আসুক, লুচির মত ফুলবে সবাই। তাসের ঘরের মতো তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আস্তে আস্তে এবার চার-ছক্কা মারা শুরু হবে, ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের উইকেট পড়বে।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরে বহিস্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেনকে নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছিল। তবে আদরে দেখা গেল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পথে না হেঁটে অধীর চৌধুরীর দলে গিয়ে যোগ দিলেন। কিছুদিন আগেই দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করে রাজ্যের শাসক দল। বহিষ্কারের পরবর্তী সময় থেকেই জল্পনা সৃষ্টি হয় যে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। কিছুদিন আগে দল বিরোধী কাজ করছেন এই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি বিজেপি শিবিরের নাম লিখিয়েছেন। এবারেও দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা নেতা অন্য দলে নাম লেখালেন। তবে এবার ব্যতিক্রমী ব্যাপার, বিজেপি নয়, তৃণমূল নেতার কারণে দল ভারী হল কংগ্রেসের।