কলকাতা: বামেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বরাবর কৌতূহল থাকে যে নতুন প্রজন্মের কেউ প্রার্থী হলেন কিনা। এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় সেই ঘাটতি মেটালো বামেরা। এবার প্রার্থী তালিকায় ছাপ রয়েছে তারুণ্যের। নতুন প্রজন্মের মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন শতরূপ ঘোষ, ঐশী ঘোষ, মীনাক্ষীর মত ‘ইয়ং ব্লাড’। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বামেদের বাকি দফার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সঙ্গে ছিলেন নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
জানা গিয়েছে, বালি থেকে বামেদের প্রার্থী হয়েছেন দিপ্সিতা ধর, কসবা থেকে শতরূপ ঘোষ, ‘হাইভোন্টেজ’ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বামেদের ভরসার নাম মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়, এদিকে, পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতে প্রার্থী হয়েছেন জেএনইউ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ঐশী ঘোষ। এদিকে, কামাহাটিতে প্রার্থী হয়েছেন, সায়নদ্বীপ মিত্র, সিঙ্গুরে টিকিট পেয়েছেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এছাড়াও বেহালা পশ্চিমে প্রার্থী হয়েছেন নীহার ভক্ত। তিনি নতুন প্রজন্ম না হলেও তাঁকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আন্দাজে ‘ইয়ং ব্লাড’ বলা যেতেই পারে। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে প্রার্থী হয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তী, বালিগঞ্জে ফুয়াদ হালিম, চণ্ডীতলায় মহম্মদ সেলিম, রায়দিঘিতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আবার টালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।
আরও পড়ুন: ‘হেভিওয়েট’ নন্দীগ্রামে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের! চমক এবার তারুণ্যেই
প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সাল থেকে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে আসছে বাম শরিক সিপিআই৷ এক সময় এই নন্দীগ্রাম পরিচিত ছিল সিপিআই গড় হিসাবে৷ ২০০৯ সালের উপনির্বাচনের আদে পর্যন্ত এই কেন্দ্রে দাগ কাটতে পারেনি তৃণণূল৷ এর পর তৃণমূলের জোয়ারে তলানিতে এসে ঠেকে বাম শিবির৷ আর একুশে নন্দীগ্রামে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই৷ সারা রাজ্যে নজর থাকবে এই কেন্দ্রের উপরেই৷ নন্দীগ্রাম থেকে মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে এই কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করেছিল বামেরা৷ সেক্ষেত্রে উঠে এসেছিল ভূমিপুত্র মহাদেব ভুঁইয়া, ডিওয়াইএফআই জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েক এবং সিপিএমের যুব নেতা প্রীতম কয়ালের নাম৷ এই কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলামকে প্রার্থী করার কথাও ভাবা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি সেই আবেদন খারিজ করে দেন৷