বেড়েই চলেছে অপার সম্পত্তির বহর, উদ্ধার আরও পাঁচ কোটি!

বেড়েই চলেছে অপার সম্পত্তির বহর, উদ্ধার আরও পাঁচ কোটি!

7fa787fa238df12f1706bdaef8edc713

কলকাতা: বেড়েই চলেছে ‘কোটির অঙ্ক খেলা’র স্কোর বোর্ড৷ ফের বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের৷ তাঁর সংস্থার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে৷ সেই সকল তথ্য চলে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে। বুধবার অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয়৷ সেই সময় আদালতের সামনে অর্পিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা। এদিন আদালতে  ইডির তরফে জানানো হয়, অর্পিতার দুই সংস্থার নামে আরও পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে৷ যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন- মহিলা দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়েছিল! কী দাবি করলেন শুভেন্দু

অর্পিতার নামে ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে দুটি সংস্থা রয়েছে৷ এই দুই সংস্থার কথা আগেই ইডি মারফত প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার ইডির তরফে জানানো হয়, ‘ইচ্ছে’ সংস্থার নামে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ ২০১৭ সালের অগাস্ট মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওই দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। ইডির দাবি, ‘ইচ্ছে’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা দিয়েই কেনা হত সম্পত্তি। এ ভাবে ঘুরপথে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাহায্য করতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তাঁর নামে থাকা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির দেখভাল করতেই অর্পিতাই৷ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অর্পিতার নামে আরও তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলিছে৷ সেই অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা৷ যে টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতেন অর্পিতা।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি নগদ উদ্ধার করে ইডি৷ এর পরেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা বলেছিলেন, এই মামলায় দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি  ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিন ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, আগের সম্পত্তির পাশাপাশি আরও দু’টি নতুন সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে এই সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির ডিরেক্টর হিসাবে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা সবাই ডামি অর্থাৎ কাগুজে। ইডি মনে করছে, আদতে সবকটি ভুয়ো সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘মেসার্স সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ভিউমোর’। ইডির জানাচ্ছে, রাসবিহারী কানেক্টরের কসবায় একটি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। যেটি কেনা হয়েছিল ‘সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নামে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। অন্যদিকে, যামিনী রায় রোডেও একটি নতুন সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ যার মালিকানা রয়েছে ‘ভিউমোর’-এর নামে।