নন্দীগ্রাম: শনিবারই ৫০ জন তৃণমূল থেকে যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে৷ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ ২৪ ঘণ্টাও পেরাল না৷ নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর খাসতালুকে বিজেপির প্রায় ২০০ টি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷
এদিন দলবদলুদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তৃণমূলে যোগদানকারী নবাগত যুবক শিবরাম জানা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতেই তৃণমূলে যোগদান করলাম। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতি করতাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে পরিষেবা দিতাম। আগামী দিনে তৃণমূলের হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াব৷’’
সুফিয়ান বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এখন বিপাকে পড়েছেন। যাদেরকে আমরা তৃণমূল থেকে আগেই বহিষ্কার করেছি, তারাই এখন বিজেপিতে যোগদান করছে। অথচ প্রায় বিজেপির ২০০টি সক্রিয় পরিবার আজ তৃণমূলে যোগদান করলেন৷” এবিষয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন, “শনিবার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে শতাধিক মানুষ যোগদান করেছে। এটা কোন মতেই মেনে নিতে পারেনি শাসকদল। মানুষকে মিথ্যা মামলা দেওয়া ও ভয় দেখিয়ে তাই তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছেন নেতৃত্বরা। এইভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন৷’’
রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে, তৃণমূল থেকে বিজেপি, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান৷ যার জেরে এলাকায় বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ তাঁদের মতে, নন্দীগ্রামে দলবদলের খেলায় নেমেছে রাজ্যের যুযুধার দুই রাজনৈতিক দলই।