কলকাতা: ভোটের মুখে দলের ভাঙনে দিশেহারা তৃণমূল কংগ্রেস৷ এরই মধ্যে জোড় কদমে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি৷ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের ১ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছে বলে জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরকারের এই কর্মসূচি সফল বলেই এদিন টুইটে সন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- কৃষক পরিবারে অমিতের ‘শাহীভোজ’, মেনুতে সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানা
শনিবার পর পর তিনটি টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রথম টুইটে তিনি বলেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও সুযোগসুবিধা পেতে মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলার ১ কোটির বেশি মানুষ ১০ হাজারেরও বেশি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েছেন।’’ এর পর আরও একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওই টুইটে তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজ্য সরকারের সকল আধিকারিক, কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি৷ যারা প্রতিদিন এত সক্রিয়ভাবে এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছেন৷ যারা সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করছেন, তাঁদেরও অভিনন্দন৷’’ তৃতীয় টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিন না হয়, তার জন্য আমি সর্বোতভাবে চেষ্টা করব৷ সেই আশ্বাস দিচ্ছি৷ তাঁদের দুয়ারে সকল পরিষেবা পৌঁছে দেব৷’’
প্রসঙ্গত, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের নয়া অভিযান ‘দুয়ার সরকার’৷ এই শিবির থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যসাথী, কণ্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো নানাবিধ সরকারি প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ করা হচ্ছে৷ জায়গায় জায়গায় খোলা হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে চলছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন- ‘ক্ষুদিরাম যতটা বাংলার ছিলেন, ততটাই ছিলেন ভারতের’, বললেন অমিত শাহ
মোট ৪ ভাগে চলবে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ। ১ ডিসেম্বর থেকে থেকে ৩০ জানুয়ারি মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ভাগের কাজ হবে ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগের কাজ হবে ১৫ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফার কাজ হবে নতুন বছরের ২রা জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ শেষ তথা চতুর্থ দফার কাজ হবে ১৮ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত৷