রেহাই মিলবে না এখনই! জোড়া ঘূর্ণাবর্তে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা

রেহাই মিলবে না এখনই! জোড়া ঘূর্ণাবর্তে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা

কলকাতা: টানা বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে শহর তথা রাজ্যে। একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা। ইতিমধ্যেই জমা জলের কারণে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে এই রাজ্যে। বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের রোজকারের জীবন চরম সঙ্কটে। তবে এই সঙ্কট এত সহজে কাটবে না বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছে হাওয়া অফিস। মনে করা হচ্ছে, সপ্তাহের শেষ জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে, যার ফলে আরও বাড়বে বৃষ্টি। 

আরও পড়ুন- জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুরা, সমস্যা মোকাবিলায় গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

আবহাওয়া অফিসের খবর, বঙ্গোপসাগরের ওপরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এর ফলেই রবিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ শেষ কয়েক দিন যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, সেই একই পরিমাণ বা তার থেকেও বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেটি ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। সেই সঙ্গে সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ক্রমে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। মানে, এই দুই পরপর ঘূর্ণাবর্তের কারণে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগনায়। 

আরও পড়ুন- বাবুল বেরোতেই ঢুকলেন প্রশান্ত! নবান্নে ‘সারপ্রাইজিং’ বৈঠক মমতার

তবে হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, এর মাঝে আগামীকাল এবং শুক্রবার আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। যদিও শনিবার থেকে তা আবার বদলে যাবে। আজ এমনিতেও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ছিল শহরে, দুপুরে বৃষ্টি নেমেছে। তাই বলা যেতেই পারে আগামী কয়েক দিন রাজ্যবাসীকে জল যন্ত্রণা সহ্য করতেই হবে। এদিকে আবার উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় হাঁটু জল। এদিকে গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করায় হাওড়ার একাধিক জায়গাও জলমগ্ন। উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন৷  এধিকে, টাকা বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে কলকাতা, প্রিন্সেপ ঘাটের মতো স্টেশনের রেললাইন৷ ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে৷ বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন৷ বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলেছে। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 4 =