কলকাতা: চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকেই আগেই ভাইরাস আক্রান্তের খবর এসেছিল। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তার, মেডিক্যেল অফিসার, কে ছিল না আক্রান্তের তালিকায়। বাদ যায়নি এনআরএসও। সেখানেও আক্রান্ত বহু। শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, সেখানে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৮০ জন। সেই প্রেক্ষিতেই হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও এনআরএসে আক্রান্ত হয়েছে কয়েক জন ছাত্র এবং হাউস স্টাফ। সকলেই তারা আইসোলেশনে রয়েছে বলে খবর। এদিকে, হস্টেলে থাকা সকলেরই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, যাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়বে শুধু তাদেরই হস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। অন্যদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এনআরএস ছাড়াও এসএসকেএম, বাঙ্গুর হাসপাতালেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। যারা চিকিৎসা করবেন, তারাই যদি এইভাবে আক্রান্ত হতে থাকেন কোভিডে, তাহলে রোগীদের কী হবে। বিগত ৩-৪ দিনেই রাজ্যের করোনা গ্রাফ হু হু করে বেড়েছে। একলাফে সংক্রমণ ২ হাজার, ৩ হাজার হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় তো সবথেকে বেশি। তথ্য বলছে, বিগত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে রাজ্যে। তাই এখন আরও উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে এখন সবথেকে বেশি চিন্তা। ডেল্টার থেকেও এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞরা। এমনকি টিকা নেওয়া থাকলেও এই প্রজাতি কাউকে কাবু করতে সক্ষম সেটার ইঙ্গিতও মিলেছিল। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের শরীরে ওমিক্রনের মূলত ৮ টি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল: মাথা যন্ত্রণা, কাশি, সর্দি, ক্লান্তি, গলা যন্ত্রণা, জ্বর, পেশী যন্ত্রণা, কনুই, হাঁটু, কোমরে যন্ত্রণা।