কলকাতা: টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। পার্থ চট্টোপাধায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এই পরিমাণ টাকা উদ্ধার হতেই একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এত টাকার ছবি একসঙ্গে দেখে হতচকিত হয়েছিল মানুষ। কিন্তু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় বুধবার। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। মোট পরিমাণ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ। তবে দু’জায়গাতেই আলাদা করে সোনা মিলেছে। টালিগঞ্জের তথ্য সকলে জানে। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে আর কী কী ছিল?
আরও পড়ুন- পার্থকে বহিষ্কারের করা হোক, দাবি তুলে দিলেন কুণাল! প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের চাপ
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৮ কোটি নগদ ছাড়াও সোনার বার, রুপোর কয়েন, গয়না মিলিয়ে আরও বেশ কয়েক কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। তার মোট মূল্য হবে ৪ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এক কেজি ওজনের তিনটি সোনার বার, সোনার হার, সোনার আংটি, ছয়টি কঙ্কন উদ্ধার করা গিয়েছে বলে খবর। কঙ্কনগুলির প্রতিটির ওজন অন্তত ৫০০ গ্রাম হবে! পাশাপাশি আছে আরও লক্ষাধিক টাকার গয়না।
এখানেই শেষ নয়। ইডি জানিয়েছে, এইসব ছাড়াও ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে সোনার পেন, সোনার ফোটো ফ্রেম! শুধু ওয়ারড্রোব থেকেই নয়, টাকা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকেও৷ ব্যাগ ও প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে রাখা ছিল ওই টাকা। সুতরাং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি শুধু টাকাই উদ্ধার হয়েছে।
তবে অর্পিতার দাবি, এই টাকা তাঁর নয়। এমনকি তিনি এও দাবি করেছেন, যে ঘরে টাকা থাকত সেই ঘরে তাঁকে ঢুকতে দিতেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসেবে ব্যবহার করা হত বলেও তাঁর দাবি। তিনি জানান, পার্থর কর্মীরাই মাঝেমধ্যে এসে সেখানে টাকা রেখে যেতেন। যেখানে টাকা রাখা হত, সেই ঘরে তাঁর কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না৷