কথা মতো কাজ, চাকরি পেলেন মৃত মইদুলের স্ত্রী

কথা মতো কাজ, চাকরি পেলেন মৃত মইদুলের স্ত্রী

কলকাতা: নবান্ন অভিযান নিয়ে এসে ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করেছে সিপিএম এবং বিরোধীরা। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতে আসাস মত চাকরি পেলেন মৃত মইদুল ইসলামের স্ত্রী। আজ পরিবারের এক সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। 

এদিন মঈদুলের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এবং স্থানীয় বিধায়ক। সেখানে মহিদুলের স্ত্রী মামনি ওরফে আলিয়া বেগমের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশি হয়েছেন মহিলাদের স্ত্রী এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। এদিকে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা রেখেছেন বলে স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। প্রসঙ্গত নবান্নে সাংবাদিকদের চকে কার্যত মেজাজ হারিয়ে ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,  ‘‘আমি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করিনা৷ এটা দুঃখজনক৷ সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, যে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাক না কেন তাঁর পরিবার যদি চায় তাহলে কোনও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্যও আমরা তৈরি আছি৷’’ 

তবে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, “বাংলার কোনো মা বোন যদি ধর্ষিতা হয়, তাঁকে চাকরি দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে আসলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত গরীব মানুষের পরিবারকেও চাকরির প্রলোভন দেখাচ্ছেন তিনি।” কংগ্রেস নেতার পাশাপাশি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে শোনা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। তরুণ বাম কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন গেরুয়া নেতা। তিনি বলেন, “আন্দোলন করানো হচ্ছে, চাকরি দেওয়াও হচ্ছে।এভাবে লাভ তোলা হচ্ছে। এর পিছনে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *