শেষ দিনের প্রচারে ভার্চুয়াল সভা মোদীর, তৃণমূলের ‘হাত’ ধরার জল্পনা দিলীপের!

শেষ দিনের প্রচারে ভার্চুয়াল সভা মোদীর, তৃণমূলের ‘হাত’ ধরার জল্পনা দিলীপের!

 

কলকাতা: আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ বারের জন্য ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে আসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওইদিন পরপর চারটি সভা করার কথা রয়েছে নমোর। ২৩ এপ্রিলের পরে রাজ্যে আর মাত্র দুই দফার ভোট বাকি থাকবে। ২৬ ও ২৯ এপ্রিলে সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৬৯টি বিধানসভা আসনে। প্রাথমিকভাবে শেষ দুই দফায় নির্বাচনে ৭১টি কেন্দ্র থাকলেও কয়েকদিন আগে ২ কেন্দ্রের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় সেই দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। ২৩ এপ্রিল মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও দক্ষিণ কলকাতায় চারটি জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। এবার বাকি ৬৫টি কেন্দ্রকেও সেই চার জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত করার পরিকল্পনা নিল বিজেপি। মঙ্গলবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সেটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আগামী ২৩ এপ্রিল একুশের নির্বাচনে শেষ বারের জন্য প্রচারে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভোট প্রচার নিয়ে মঙ্গলবার রাজারহাট-নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। বৈঠকে ঠিক হয়, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও দক্ষিণ কলকাতার আশেপাশের ৬৫টি কেন্দ্রকেও প্রধানমন্ত্রীর সভার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হবে। এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনানো হবে। আবার বুধবার বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানানো হয়েছে, সমস্তরকম করোনাবিধি মেনে একমাত্র দল হিসেবে বিজেপিই ভোট প্রচার করছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও সারা রাজ্য জুড়ে বহু লোকের সমাগম করে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে থাকা করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার কোনও ইচ্ছেই রাজ্যের শাসকদলের নেই।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের সাংসদ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একদিন বাংলায় এসেই বলে দিয়েছেন তিনি আর বাংলায় আসবেন না। ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে হঠাৎই সরিয়ে নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।” যদিও রাহুল গান্ধী এবং অধীর চৌধুরী দুজনেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন, করোনা আক্রমণের মৃদু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নিজেদের ভোটের প্রচার থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তারা। তবে কংগ্রেসের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। রাহুল ও অধীরের এই কূটনৈতিক চালে ‘হাত’ ও ‘জোড়াফুল’-এর সেটিং দেখতে পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *