রানিগঞ্জ: ‘‘লুটে খাওয়াদের বিরুদ্ধে খেটে খাওয়াদের লড়াই! আগামী ৮-৯ জানুয়ারি দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট৷ এই ধর্মঘট নতুন ভারত গড়ার লড়াই৷ মোদী-মমতা দেওয়ালের লিখন পড়ুক৷ আমাদের দেশ আমরাই পথ করে নেব৷’’ রানিগঞ্জে সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে এক গণকনভেনশনে একথা বলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ৷
কনীনিকা ঘোষ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যার ফানুস ফেটে গেছে৷ বলেছিলেন ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। হয়েছে আদানি, আম্বানি সহ রাঘববোয়ালদের বিকাশ৷ দাদাভাই-দিদিভাই বেকারদের নিয়ে তামাশা করেছে৷ দিল্লির দাদা বেকারদের পকোড়া ভাজতে বলেছেন৷ এখানে দিদিভাই বলেছেন চপের দোকান করতে৷’’ প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার আহ্বান জনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মানুষ পরিচয় নিয়ে বাঁচতে চাই৷ ওরা হিন্দু-মুসলমান-দলিত ইত্যাদি বিভেদের মধ্যদিয়ে খেটে খাওয়া মানুষকে ভাগ করতে চায়৷ লড়াইয়ের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চায়৷ সারা দেশের শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-যুব-মহিলা জোট বেঁধেছেন৷ রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ বিজেপি’কে তাড়িয়ে বার্তা দিয়েছে, তোমাদের একার দেশ নয় এটা৷ তোমাদের যা খুশি তাই করতে দেব না। এখানে দিদিভাই ভাবছেন ক্লাবে টাকা দিলেই কৃষকের বুকের জ্বালা মিটে যাবে, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই থামিয়ে দেওয়া যাবে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার ছাড়পত্র কেউ দেয়নি তৃণমূলকে। মা মাটি মানুষের সরকার চলছে, না মদ-মাংস-মোচ্ছবের সরকার চলছে তা মানুষ দেখছেন। এই মানুষই মসনদ থেকে টেনে নামাবার জন্য জোটবদ্ধ হয়েছেন। আওয়াজ উঠেছে সাধারণ ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল কর। তৃণমূল হটাও রাজ্য বাঁচাও-বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও।’’