কোচবিহার: ব্যাঙ্কে টাকা পড়লেও পড়তে পারে। অনেক জায়গায় পড়ে গিয়েছে। বছর শেষে এই গুজবে নাওয়া খাওয়া ভুলে জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক কোচবিহারে। জেলার প্রধান ডাকঘরের বাইরে চোখে পড়ে গ্রাহকদের লম্বা লাইন। যদিও জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খুলবে বলেই এই লাইন বলে দাবি গ্রাহকদের।
২০১৪ ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসেই প্রথম জনধন যোজনা প্রকল্প চালু করেন। জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সেসময় স্লোগান দেওয়া হয়েছিল, ‘মেরা খাতা, ভাগ্য বিধাতা’। তার আগে ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি একাধিক জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা ফেরানো সম্ভব হলে প্রত্যেক ভারতবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা পড়বে। তার ফলেই প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনা অ্যাকাউন্ট খোলার আহ্বান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
২০১৮ শেষ হতে চলেছে। বছর শেষে ফের সেই ভাগ্যের সন্ধানেই কী জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য গ্রাহকদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে কোচবিহারের হেড পোস্ট অফিসের বাইরে। জেলার প্রত্যন্ত জায়গা থেকে জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আসেন গ্রাহকরা। হঠাৎ এই উদ্যোগে প্রশ্ন উঠলেও তাঁদের বক্তব্য, নিকটবর্তী কোনও জায়গায় জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট না খুলতে পেরে কোচবিহারের ডাকঘরে এসেছেন।
সরকারি সুযোগ সুবিধার জন্যই এই জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টের হিড়িক বলে জানিয়েছেন ডাকঘরের শাখা ম্যানেজার কৌশিক দাস। বছর শেষে পোস্ট অফিসের বাইরে জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িকে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছ কেন? ২০১৪ পেরিয়ে ২০১৮ শেষ। কেটে গিয়েছে ৪ বছর। কালো টাকা ফেরেনি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ফের বছর শেষে জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক ভাগ্য ফেরার আশা নাকি গুজবের প্ররোচনায়, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।