কলকাতা: সব জল্পনার অবসান ঘটবে আজ। আর কোনও তর্কের জায়গা থাকবে না। একেবারে যেন দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হবে রবিবার। প্রশ্ন একটাই, কার দখলে যাবে বাংলা, মোদী না মমতা? নাকি বাজিমাত করে যাবে কংরেস-সিপিএম জোট… উত্তর মিলবে আজকেই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরিতে ভোটের ফল ঘোষণা। কিন্তু বাংলার মতো নজরে কেউ নেই। প্রত্যেকে জানতে চান যে বাংলায় কী হবে, প্রত্যাবর্তন না আসল পরিবর্তন। সেই দিকে তাকিয়ে এখন সকলে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ফল করেছিল তা অবশ্যই ছিল অপ্রত্যাশিত। ভালো করে বলা যায় সেই নির্বাচনের ফল বিজেপিকে চরম আত্মবিশ্বাস দিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। সেই ফলাফলের ওপর ভর করেই বিজেপি স্লোগান তুলেছিল, ‘অব কী বার, ২০০ পার।” নজিরবিহীনভাবে বাংলায় ৮ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে আজ ভোটের ফলাফল। তাই আজকের ফলাফল কী হতে চলেছে তা জানার জন্য উদ্বেগ আকাশ ছোঁয়া। অবশেষে ভাঙা পায়ে খেলা হল, নাকি খেলা শেষে এল আসল পরিবর্তন, জানা যাবে আজ। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে মাত্র তিনটি আসনে জয় পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সেই বিজেপি-ই ১৮টি আসন দখল করে। তখন থেকেই বিজেপি স্লোগান তুলেছিল, ”১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ”। এবার এটাই দেখার আদতে বাংলার মানুষ কাকে হাফ বা সাফ করেন।
এদিকে এবারের কংগ্রেস এবং সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর অদম্য জেদ তাদের মধ্যে। সেই প্রেক্ষিতে এবার সিপিএম একাধিক তরুণ প্রজন্মকে সামনের সারিতে দাঁড় করিয়েছে। তারা কতটা এই নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারল, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে আজ। নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সামগ্রিকভাবে তারা আদতে সংযুক্ত মোর্চাকে কোন রকম সুবিধা দিতে পারলেন কিনা তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে বিকেলের মধ্যেই। এখন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।