জয়নগর: রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলাকালীন জয়নগরের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল। বললেন, “প্রথম দফার নির্বাচনে যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, তাতে বিজেপির ২০০ আসন নিশ্চিত। বাংলার আসল পরিবর্তনে কেবল এক মাসের অপেক্ষা।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে গিয়ে ভোট প্রচার করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়েও কটাক্ষ করলেন মোদি।
দ্বিতীয় দফার ভোটে যখন একদিকে উত্তাল নন্দীগ্রাম, তখন অন্যদিকে একের পর এক সভা করে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। সুন্দরবনের পরে এদিন জয়নগরের সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “১০ বছর সরকারে থাকাকালীন যদি কিছু কাজ করতেন, তাহলে আর আজকে তিনদিন ধরে নন্দীগ্রামে পড়ে থেকে অন্য দলের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে হত না। বাংলা যেটা আগামী দিনে করতে চায়, নন্দীগ্রাম সেটা আজকে করে দেখিয়ে দিচ্ছে।”
কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, “ভিনদেশে গিয়ে ভোটের প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী।” এই অভিযোগের জবাবে এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বাংলাদেশ গিয়ে আমি ৫১ সতীপীঠের একপীঠ যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো দিয়েছি। এতেও দিদির আপত্তি। ওড়াকান্দির হরিচরণ ঠাকুরের পুণ্যভূমিতে গিয়ে আমি গোটা দেশের জন্য আশীর্বাদ চেয়েছি। এতেও দিদির রাগ সপ্তমে চড়েছে। আপনারাই বলুন, কালী মন্দিরে গিয়ে পূজা-অর্চনা করা, দেশের জন্য আশীর্বাদ চাওয়া কি ভুল? হরিচাঁদ ঠাকুর কে প্রণাম করা কি ভুল?”