কলকাতা: এবার মুকুল রায়কে ফোন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ মুকুল পত্নী কষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই এই ফোন বলে জানা গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নাগাদ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ কৃষ্ণা রায় কেমন আছেন সে বিষয়ে জাবতে চান৷ মুকুল জায়ার দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- অভিষেক যেতেই নড়ল টনক! ২০ দিন পর মুকুল জায়াকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ
কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হন মুকুল রায় ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়৷ মুকুল রায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কৃষ্ণাদেবী৷ কোভিড পরবর্তী নানা সমস্যা রয়েছে তাঁর৷ দক্ষিণ কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ২০ দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ কৃষ্ণাদেবীর শারীরিক জটিলটা এখনও প্রকট৷ মূলত তাঁর খোঁজ নিতেই এই সৌজন্যমূলক ফোন৷ জানা গিয়েছে, এদিন দু’জনের মধ্যে প্রায় ২ মিনিট কথা হয়৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অভিষেক-শুভ্রাংশুর সাক্ষাতের পরেই কি এই পাশে থাকার কথা মনে পড়ল বিজেপি নেতৃত্বের৷
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধেবেলা কৃষ্ণাদেবীকে দেখতে হাসপাতালে যান তণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা৷ সেখানে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি৷ এর পরেই রাত ৯টা নাগাদ কৃষ্ণদেবীর খোঁজ নিতে হাসপাতালে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ৷ আর এর পরেই বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ফোন৷ গোটা বিষয়টা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ আপাত ভাবে দেখতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির অসুস্থ স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন৷ গোটা বিষয়টিই অত্যন্ত সৌজন্যের৷ কিন্তু গতকাল সন্ধে থেকে ঘটনাক্রম লক্ষ্য করলে বিষয়টা শুধু সৌজন্যের গন্ডিতে বাঁধা থাকে না। তবে কি ঘর ভাঙার আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে গেরুয়া শিবির?
এদিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মকুল-পত্নীর খোঁজ নেওয়ার পরেই আপ্লুত শুভ্রাংশু৷ প্রকাশ্যে সে কথা জানিয়েছেন তিনি৷ তবে অভিষেকের পাশে থাকার এই বার্তার পিছনে রাজনৈতিক কৌশল দেখছেন অনেকেই৷ অন্যদিকে অভিষেক যেতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে বিজেপি৷ প্রায় ২০ দিন ধরে অসুস্থ মুকুল পত্নী৷ কিন্তু এতদিন টিকিও দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষ বা অন্য কোনও নেতৃত্বের৷ অভিষেক যাওয়ার পরেই শুরু হয় খোঁজ নেওয়ার হুড়োহুড়ি৷